ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ধরা খেলো ভিলেজ ক্রাইম চক্র

তজুমদ্দিন প্রতিনিধি:
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কোড়ালমারা এলাকায় গড়ে উঠেছে ভিলেজ ক্রাইম চক্র। এদের প্রধান কাজ গাঁজা -ইয়াবার ব্যবসা।
সাধারণ মানুষকে হয়রানী ও চাঁদাবাজী। দাবীকৃত চাঁদা পরিশোধ না করলে গাঁজা -ইয়াবা দিয়ে মারপিট করে ধরিয়ে দেয় পুলিশে।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দিন দুপরে এমনই এক ঘটনা ঘটে ওই এলাকার আঃ রশিদের ছেলে মোঃ নসু র সাথে। ওই চক্রের সদস্যরা মারপিট করে ইয়াবা দিয়ে নসুকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই আটকা পড়েছে পুলিশের জালে।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে মোঃ নসু দুই সহযোগী মিরাজ ও সিরাজকে নিয়ে কোড়ালমারা এলাকার নুরুজ্জামানের গাছ কাটতে আসে।
এসময় চক্রের সদস্যরা নসুর কাছ থেকে কিছু টাকা পয়সা দাবী করে। নসু টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই এলাকার সামীম, বজলু, নুর আলম, নুরনবী, শাহীন, ইমতিয়াজ, আক্তার, শাহীন মিলে নসুকে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেধে রেখে ইয়াবা দিয়ে পুলিশের কাছে খবর দেয়। পুলিশ নসুকে থানায় নেয়ার পর ঘটনা বিস্তারিত শুনে তদন্ত করলে আসল ঘটনা প্রকাশ পায়।
নসু জানান, কয়েক মাস আগে কোড়ালমারা নতুন ব্রিজের কাছ থেকে কাঞ্চনের ছেলে নুর আলমকে ৪০টা টেবলেট ও এক পুটলি গাঁজাসহ লালমোহনের পুলিশ আটক করে। নুর আলম দুই মাস ১৩ দিন জেল খেটে এসে ওই ঘটনায় দোষী বানিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবী করে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
ওই এলাকার বাসীন্দা মোঃ মফিজ মিয়া, মোঃ কামালউদ্দিন, শাখাওয়াত, মহিউদ্দিন সহ অনেকে জানান, নুরা, শামীম, বজলু সহ ১০/১৫ জনের একটি ক্রাইম টিম রয়েছে। এদের অবৈধ ব্যবসার বিরোধীতা বা চাহিদা পুরন না হলে এভাবে মানুষকে হয়রানী করে আসছে।
তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইন-চার্জ এসএম জিয়াউল হক জানান, পুলিশী তদন্ত শেষে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুর আলম ও নুরনবীসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করে মামলা এজাহার ভুক্ত করা হয়েছে।