টিসিবির ট্রাকে উপচে পড়া ভীড়, খুশি ক্রেতারা

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে এসে আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন সীমিত আয়ের মানুষ।
এমন পরিস্থিতিতে ঝালকাঠিতে সরকারের ট্র্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বিক্রির ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
ভোর থেকেই টিসিবির ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন নিম্নবিত্তরা। এই কেন্দ্রগুলোতে অতিদরিদ্র মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত অনেক মানুষই সংসারের জন্য তেল, চিনি ও ডাল কিনতে দাঁড়াচ্ছেন লাইনে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, জেলার ৩২টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌর এলাকায় মোট ৫৮ হাজার লোকের মাঝে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
ঝালকাঠির এনডিসি মো. বশির গাজী জানান, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রথম কিস্তিতে ৫৮ হাজার পরিবারের মাঝে ন্যায্যমূল্যে দুই কেজি চিনি, দুই কেজি ডাল, দুই লিটার তেল বিক্রি করা হবে। দ্বিতীয় দফায় এ পণ্যের সঙ্গে দুই কেজি ছোলা যুক্ত করা হবে।
চিনি প্রতিকেজি ৫৫ টাকা, ডাল ৬৫ টাকা ও তেল ১১০ টাকা করে বিক্রি হবে। অল্প আয়ের মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন তালিকা করে কার্ড বিতরণ করবে।
এ পণ্য তালিকাভুক্ত পরিবারগুলো কিনতে পারবে। তিনি আরো জানান, ঝালকাঠিতে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার লিটার সোয়াবিন তেল, এক লাখ ৯ হাজার কেজি করে অন্যান্য পণ্য মজুদ রয়েছে।
এরপূর্বে এ পণ্য বরিশাল থেকে ডিলারদের মাধ্যমে আনা হয়। ডিলাররাই এ পণ্য তালিকাভুক্ত পরিবারের মাঝে বিক্রি করবেন। কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য বিক্রি করা হলে নিরাপদে গ্রাহক তার পণ্য কিনে নিতে পারবেন।
পাশাপাশি ডিলাররা কাউকে কম বেশি দেওয়ারও সুযোগ পাবেন না। রমজানে এসব পণ্যের সঙ্গে ছোলাবুট থাকবে বলেও জানান এনডিসি বশির গাজী।
নলছিটি উপজেলার অভয়নীল এলাকার টিসিবির ট্রাকের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা রহিম হাওলাদার বলেন, আমরা যা রোজগার করি তা দিয়ে সংসার চালানোই কষ্টসাধ্য।
তার মধ্যে জিনিসপত্রের দাম এখন বাড়তি। জিনিসপত্রের দাম বাড়তি থাকলেও আমাদের কাজের দর খুবই কম। কম দামে পণ্য পেয়ে অনেকটা ভালোই লাগছে।
নাচনমহল এলাকার ছালেহা বেগম বলেন, স্বামী দিনমজুর। অল্প টাকা রোজগার। সে কাজে গেছে আর আমি টিসিবি পণ্য কিনতে লাইনে দাঁড়িয়েছি। যদি কম দামে তেল, চিনি আর ডাল কিনতে পারি তাহলে অন্তত কয়েকটা দিন ভালোভাবে চলতে পারবো।
আজ সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের অভয়নীল এলাকায় টিসিবি পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এনডিসি বশির গাজী।
এসময় তিনি বলেন, সবাই যেন সঠিকভাবে পণ্য কিনতে পারেন, কোথাও যেন অনিয়ম না হয় সেদিকে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।