লঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগটি বানিয়ে বলেছিলো শিশুরা!

কায়সার সামির- মুন্সীগঞ্জ
ভাড়া না দেওয়ায় মুন্সীগঞ্জ সংলগ্ন মেঘনা নদীতে চার শিশুকে লঞ্চ "ইমাম হাসান-৫" থেকে নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগটি পুলিশের কাছে বানিয়ে বলেছিলো শিশুরা। মূলত চার শিশুর মধ্যে শাকিব অপর আরেক শিশুকে নদীতে ফেলে দেওয়ার পর বাকি তিনজন নিজেরাই নদীতে লাফিয়ে পরেছিলো। পরবর্তী ভাসমান অবস্থায় পুলিশ শাকিব ও মেহেদুলকে উদ্ধার করলে পুলিশের কাছে বিষয়টি লুকাতে শাকিব ও মেহেদুল মিথ্যা অভিযোগ করে। সোমবার রাতে এসংক্রান্ত একটি ভিডিও মুন্সিগঞ্জের সাংবাদিকদের হাতে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ভাসমান অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করা দুই শিশুর মধ্যে মেহেদুল (১৩), অপর দুই শিশু সিয়াম (১০) ও তরিকুল (১০) ।
ভিডিওতে সিয়াম জানায়, সদরঘাট থেকে তারা লঞ্চে উঠেছিলো। সেখান থেকে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে কাছে পৌছে মাঝ নদীতে যাত্রী উঠা নামা করা ট্রলার যোগ তাদের পাড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলো। তবে মুন্সীগঞ্জে ট্রলার নামতে গেলে করে ট্রলার চালকরা নামতে দেয়নি। পরে চাঁদপুরের অভিমুখে চলতে থাকা লঞ্চ থেকে সঙ্গীদের নদীতে লাফ দিতে বলে সাকিব। তবে কেউ লাফ না দিলে সাকিব তাদের মধ্যে থাকা তরিকুলকে নদীত ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর একে একে নদীতে ঝাপ দেয় অপর তিনজন। পরবর্তীতে সিয়াম ও তরিকুল সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ভাসতে থাকে মেহেদুল ও শাকিব।
গজারিয়া থানা পুলিশের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া শিশু মেহেদুল জানান, নদীতে ভাসমান অবস্থায় পুলিশকে দেখে শাকিব লঞ্চের স্টাফরা নদীতে ফেলে দিছে বলে পুলিশের কাছে বলতে শিখিয়ে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের উদ্ধার করলে শাকিব নিজেই পুলিশের কাছে বলে তাদের লঞ্চের স্টাফরা ফেলে দিয়েছে। ভিডিওতে শিশুরা আরও জানায়, লঞ্চের স্টাফ ও পুলিশ কেউ তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেনি।