South east bank ad

নেত্রকোনায় ফেলে যাওয়া অসহায় প্রসূতিকে হাসপাতালে নিলেন ইউএনও মাহমুদা আক্তার

 প্রকাশ: ০৩ অগাস্ট ২০২১, ০২:৩০ অপরাহ্ন   |   উপজেলা প্রশাসন

নেত্রকোনায় ফেলে যাওয়া অসহায় প্রসূতিকে হাসপাতালে নিলেন ইউএনও মাহমুদা আক্তার
স্বজনদের ফেলে যাওয়া অসহায় প্রসূতির পাশে দাঁড়ালেন নেত্রকোনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা আক্তার। সন্তানসম্ভবা ওই নারীকে ভর্তিও করান হাসপাতালে।

সোমবার (২ আগস্ট) সকালে প্রসূতি স্বর্ণা আক্তার সাথী (২৫) ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। বিকেলে মা ও শিশুর জন্য উপহার সামগ্রী নিয়ে দেখতে যান ইউএনও মাহমুদা আক্তার।

প্রসূতি স্বর্ণা আক্তার সাথী জানান, সদর উপজেলার মেদনী গ্রামে তার স্বামীর বাড়ি। স্বামীর নাম সুমন মিয়া। তাদের দাম্পত্য জীবন প্রায় ১০ বছরের। আরও দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে তার। আবারও গর্ভবতী হয়ে সন্তান প্রসবের সময় হলে গত ছয়দিন ধরে সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ঘোরাফেরা করেও অপারেশনের ব্যবস্থা হচ্ছিল না। এতে স্বামী ও পরিবারের লোকজন শহরের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানেও কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় শনিবার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সামনে রেখে স্বামী ও পরিবারের লোকজন চলে যান।

তিনি আরও বলেন, ইউএনও স্যার যদি আমাকে সহায়তা না করতেন তাহলে পরিবারের সদস্যরা আমার প্রতি দৃষ্টি দিতেন না। স্যারের কারণেই আমি ও আমার সন্তান এখন সুস্থ আছি।

এ বিষয়ে নেত্রকোনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা আক্তার বলেন, গত শনিবার শহরের সাতপাই স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সামনে ওই গর্ভবতী নারীকে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। তার অসহায়ত্বের কথা শুনে অপারেশনের জন্য মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চেষ্টা কিন্তু। কিন্তু কেন্দ্রের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত থাকায় ওই নারীকে পরে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সেখানে অপারেশানের ব্যবস্থা হলেও স্বামী বা কোনো নিকট আত্মীয়ের স্বাক্ষর না পাওয়ায় পুলিশকে বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়। পরদিন গৃহবধূর স্বামীসহ স্বজনরা তাকে শহরের আল নূর ডায়াগনস্টিক হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার সেখানে তার ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
BBS cable ad