সিরাজগঞ্জে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত যমুনার পানি

কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা এক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ১১ সেন্টিমিটার। এদিকে এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও চলনবিলের পানিও বাড়ছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্নাঞ্চল এলাকার মানুষ।
আজ শনিবার ২৮ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন।
পাউবোর শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের পানি পরিমাপক (গেজ মিটার) আবদুল লতিফ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ১৪ আগস্ট শনিবার থেকে শুরু করে আজ শনিবার ২৮ আগস্ট পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নদী তীরবর্তী আরও কিছু নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্যাদুর্গতরা। বন্যাকবলিত এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন ক্ষেত, বীজতলা, আখ, পাট, তিল ও সবজিবাগানসহ বিভিন্ন ফসল।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, ৫টি উপজেলায় ১০০ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ করে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারা এ বরাদ্দ করা সহায়তা তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ করবেন। এ ছাড়া জেলায় ৭৬ মেট্রিক টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা মজুত রাখা হয়েছে। কোনো এলাকায় ত্রাণের প্রয়োজন আছে কি না, তা নিয়মিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, যমুনায় পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বন্যা পূর্ভাবাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে যমুনা নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। তবে পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত বন্যার তেমন কোনো খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেও জানান এ কর্মকর্তা।