‘আনসার আল ইসলাম’ এর শীর্ষ নেতা মুফতি জসিমউদ্দীন তানভীর’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪
জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রত্যয় নিয়ে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে এলিট ফোর্স র্যাব। র্যাবের তৎপরতার কারণে বিভিন্ন সময়ে নাশকতা সৃষ্টিকারী জঙ্গী সংগঠন সমূহের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীদেরকে গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর গোয়েন্দা নজরদারী ও অভিযানের ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনগুলোর নেতা কর্মীরা পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে বার বার ব্যর্থ হয়েছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে ধৃত হয়েছে। জঙ্গী দমনে বাংলাদেশের সফলতা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বেশ প্রশংসিত।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং তারিখে র্যাব-৪ কর্তৃক গ্রেফতারকৃত “আনসার আল ইসলাম” এর সদস্য আসামীর বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, তথ্য প্রযুক্তির সহয়তায় সার্বিক তদন্তের ভিত্তিতে অদ্য ১১ জুন ২০২১ ইং তারিখ রাত ০০.১৫ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাস্থ বিজয়নগর থানাধীন ঘনশ্যামপুর গ্রামে ঘনশ্যামপুর দারুল উলুম মাদ্রাসা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উগ্রবাদী কার্যক্রমে ব্যবহৃত ০১ টি ল্যাপটপ, ০৩ টি মোবাইল এবং ০২ উগ্রবাদী বই কিছু লিফলেটসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর নিম্নোক্ত শীর্ষস্থানীয় নেতা’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়ঃ
(ক) মোঃ জসিম উদ্দিন তানভীর (২৮), জেলা-হবিগঞ্জ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী নিজেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ‘‘আনসার আল ইসলাম’’ এর হবিগঞ্জ জেলার শীর্ষস্থানীয় সদস্য বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া শেষ করে হবিগঞ্জ জেলা হতে গোপনে চলে এসে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার একটি বেসরকারী মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলো। সে সাধারণত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বিভিন্ন এ্যাপস ব্যবহার করে চরমপন্থার উস্কানি দেওয়ার প্লাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করে আসছিলো। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, সে “আনসার আল ইসলাম” এর শীর্ষস্থানীয় সক্রিয় সদস্য হিসেবে অন্যান্য সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি অন্যদের উদ্ধুদ্ধকরণের জন্যে মটিভেটর হিসাবে অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী লেখালেখি ও ভিডিও প্রচার এবং নিয়মিত চাঁদা সংগ্রহ এবং অফলাইনে সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে আসছিলো। তার মোবাইল হতে বিভিন্ন উগ্রবাদী কথোপকথনের ও প্রচার প্রচারণার প্রমানাদি জব্দ করা হয়েছে। উল্লেখ্য তার দলের (আনসার আল ইসলামের) বেশ কিছু সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার হওয়ায় সে বহুদিন আত্মগোপনে চলে গিয়েছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি অন্যান্য সহোচরদের গ্রেফতারে র্যাব এর গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
