South east bank ad

চার জেলায় ২ কোটি টাকার জাল নোট ছড়িয়েছে একটি চক্র: র‌্যাব

 প্রকাশ: ২৪ অগাস্ট ২০২৩, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন   |   র‍্যাব

চার জেলায় ২ কোটি টাকার জাল নোট ছড়িয়েছে একটি চক্র: র‌্যাব
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও মুন্সিগঞ্জে ২ কোটি টাকার জাল নোট ছড়িয়ে দেয়ার তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব। এই চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতারের পর বুধবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব জানায়, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর খিলগাঁও, সবুজবাগ ও ডেমরা এলাকা থেকে জাল নোটকারবারী চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- মোহাম্মদ আমিনুল হক ওরফে দুলাল, আবদুর রাজ্জাক ওরফে দিদার, সুজন আলী ও মোহাম্মদ সাকিবুল হাসান। এসময় তাদের হেফাজত থেকে ৫০ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া জাল নোট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামও জব্দ করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তিরা একটি চক্রের সদস্য। তারা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে জাল নোটের কারবার চালিয়ে আসছিলেন। তারা এখন পর্যন্ত প্রায় দুটি কোটি টাকার ব্যবসা করেছেন। চক্রটির সদস্যরা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জাল নোট সরবরাহ করতেন। এ ছাড়া মাছবাজার, লঞ্চঘাট, বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন মার্কেটে জাল নোট সরবরাহ করতেন। তারা বিভিন্ন উৎসবের সময় বিপুল পরিমাণ জাল নোট ছাপাতেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তারা জাল নোট ছাপার পর অব্যবহৃত কাগজসহ অন্যান্য অংশ পুড়িয়ে ফেলতেন।

র‌্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেন, চক্রটির মূল হোতা আমিনুল। অন্যরা তার সহযোগী। আমিনুল একসময় রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি অনলাইনে জাল নোট তৈরি করা শেখেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হওয়া কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে তিনি জাল নোট তৈরি-বিক্রির চক্র গড়ে তোলেন। জাল নোট বিক্রি করিসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেজ-গ্রুপ খুলে তারা জাল নোটের কারবার চালিয়ে আসছিলেন। আমিনুল জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ করতেন। তিনি নিজে জাল নোটের ডিজাইন করতেন। জাল নোট ছাপার কাজ করতেন। তিনি জাল নোট ছেপে তা তার সহযোগী দিদারকে দিতেন। দিদার চক্রের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে জাল নোট কাটিং ও বান্ডিল করতেন। তারা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে গ্রাহক তৈরি করতেন। তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিতেন। পরে তাদের সুবিধাজনক স্থানে জাল নোট সরবরাহ করতেন। যখন ব্যবসা রমরমা থাকত, তখন চক্রটি দিনে দুই থেকে তিন লাখের বেশি টাকার জাল নোট তৈরি করত। চক্রটি ১ লাখ টাকার জাল নোট ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করত।
BBS cable ad

র‍্যাব এর আরও খবর: