ঈদে যারা গ্রামে যাবেন তাদের বাসাবাড়ির নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়া হবে: খন্দকার আল মঈন
ঈদে যারা গ্রামে যান তাদের ঢাকার বাসাবাড়ির নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার আল মঈন বলেছেন, ‘গ্রামে যারা ঈদ করতে যান তাদের ঢাকায় যে বাসা-বাড়ি আছে, এগুলোর নিরাপত্তায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ যেন নির্বিঘ্নে যাত্রা করতে পারেন কোনো প্রতিবন্ধকতায় পড়তে না হয়, সেজন্য র্যাবের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখো মানুষ যাতে ছিনতাইকারী ও মলমপার্টির খপ্পড়ে না পড়েন সেজন্য আমাদের গোয়েন্দা শাখার লোকজন কাজ করছে।’
‘কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে ইজারা নিয়ে চাঁদাবাজি ও জাল টাকা ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে। অনেক সময় কৃত্রিম রাসায়নিক দ্রব্য খাইয়ে মোটা তাজাকরণ করা হয়। অনেকে নানাভাবে প্রতারিত হোন’ বলেন কমান্ডার মঈন।
ঈদের সময় মার্কেট, শপিংমলগুলোতে মানুষের ভীড় হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেখানে ছিনতাইকারী ও মলমপার্টির খপ্পড়ে পড়েন। অনেকে কেনাকাটা করতে গিয়ে ইভটিজিংয়ের শিকার হোন। এই বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে এবং কেউ যেন প্রতারণার শিকার না হোন সেজন্য বিভিন্ন লঞ্চ, ফেরি ঘাট, বাস স্টপেজে বিশেষ নজরদারি থাকবে বলে জানান র্যাবের এই পরিচালক। বলেন, ‘গোয়েন্দা সদস্যরা সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করবেন।’
ঢাকাটাইসকে তিনি আরও বলেন, ‘এক শ্রেণির ব্যবসায়ী কোরবানির চামড়া মজুদ ও দাম কমিয়ে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করছি। এবার যেন নগরবাসী প্রতারিত না হন ন্যায্য মূল্য পান সেজন্য আমরা নজরদারি রাখছি।’
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও অনলাইনভিত্তিক বিজ্ঞাপন দিয়ে কোরবানির গরু বিক্রির কথা উল্লেখ করে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘অনলাইনে ও বিভিন্ন পেইজে গরু কিনতে গিয়ে কেউ প্রতারিত হলে তারা যেন র্যাব কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করেন। আমাদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
‘ঈদকে কেন্দ্র করে অনলাইন শপিং কেনাকাটা হয়। ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রতারণার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। যে কেউ অনলাইনে কেনাকাটায় প্রতারিত হলে আমাদের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব’- বলেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
ঈদের জামায়াতে র্যাবের বিশেষ নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে কমান্ডার মঈন বলেন, ‘অতীতে জঙ্গি হামলার ঘটনাও ঘটেছে। আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঈদে নগরবাসী শহর থেকে গ্রামে ঈদ করতে বাড়ি যান। আমরা অনুরোধ করবো কেউ যদি খালি বাসা-বাড়ির নিরাপত্তাহীনতা বোধ করেন আমাদের জানাতে পারেন আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমাদের নজরদারি ও গোয়েন্দা কার্যক্রম অনেক বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
খন্দকার আল মঈন জানান, ঈদে সামগ্রিক নিরাপত্তায় র্যাব অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে। বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা এখনো নেই। তবে যেহেতু শোলাকিয়াসহ ঈদ জামায়াতে হামলার ঘটনা ঘটেছে, অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’-ঢাকা টাইমস
