নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণ শুরু আজ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে আজ থেকে দেয়া হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে সকালে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরাপদ করতে এ কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে দেড় লাখের বেশি পুলিশ সদস্যকে। এ বিষয়ে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কাজী জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে আমরা দেড় লাখ বা তারও বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রশিক্ষণ দেব।’

পুলিশ সদর দপ্তরের মানবসম্পদ (এইচআর) উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়া উদ্দিন আশা করেন, আসন্ন নির্বাচনটি দেশের ইতিহাসে একটি ‘মাইলফলক’ হয়ে থাকবে। তাই নির্বাচনে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে। জিয়া উদ্দিন জানান, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে গত তিন মাসে তার বিভাগ নয়টি প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করেছে। কোর্সটি নির্বাচনকালীন যেকোনো ধরনের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবেলা করতে পুলিশ সদস্যদের প্রস্তুত করবে।

বাংলাদেশ পুলিশের দেশজুড়ে ১৩০টি ছোট ও চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রেই নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ তথ্য জানিয়ে জিয়া উদ্দিন জানান, নির্বাচনী প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে তারা দুটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছেন।

এর মধ্যে একটি ১৫ মিনিটের অডিও-ভিজুয়াল কনটেন্ট এবং একটি ৯ মিনিটের ফিল্ম। পাশাপাশি একটি বুকলেটও তৈরি করা হয়েছে।

প্রশিক্ষণের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ‘পুলিশ সদর দপ্তরে গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মডিউল অনুযায়ী ১৫০ মাস্টার ট্রেইনারকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আগামীতে দেশের ১৯টি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১ হাজার ২৯২ মাস্টার ট্রেইনার বা ট্রেইনার অব ট্রেইনার্স (টিওটি) তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। পরবর্তী সময়ে তারাই নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের জন্য দেড় লাখেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেবেন।’

জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনের সময় সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য বাস্তবমুখী মহড়া প্রশিক্ষণ দেয়া হবে সব ট্রেইনারকে। নির্বাচনকালীন সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ কার্যক্রমগুলো পরিচালিত হচ্ছে।’