৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জন পুনর্বিবেচিত হচ্ছেন
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের মধ্যে ২২৭ প্রার্থীর পুনর্বিবেচনার আবেদন নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ৩০ ডিসেম্বর নতুন করে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে বাদ পড়া প্রার্থীরা বুধবার সচিবালয়ের সামনে জড়ো হয়ে পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।
বাদ পড়া প্রার্থীরা বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ০৫ জানুয়ারির মধ্যে পুনরায় গেজেট করে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে যোগদান নিশ্চিতের দাবি জানান।
এ নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সাময়িকভাবে দুই হাজার ১৬৩ প্রার্থীকে মনোনীত করে গত বছরের ২৫ জানুয়ারি সুপারিশ করে।
বিসিএস রিক্রুটমেন্ট রুলস, ১৯৮১ এর রুল-৪ এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রার্থীদের প্রাক-চরিত্র যাচাই-বাছাই করে সুপারিশকৃত দুই হাজার ১৬৩ প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং এজেন্সি রিপোর্ট বিবেচনায় সাময়িকভাবে ৫৯ জনসহ মোট ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে অবশিষ্ট দুই হাজার ৬৪ প্রার্থীর অনুকূলে গত বছরের ১৫ অক্টোবর নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এ নিয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সব সমালোচনার ঊর্ধ্বে থেকে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী নির্ধারণে এবং সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য ৪৩তম বিসিএসের সুপারিশকৃত দুই হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীর বিষয়ে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে প্রাক-চরিত্র পুনরায় অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা থেকে দুই হাজার ১৬৩ প্রার্থীর উপযুক্ততা/ অনুপযুক্ততা বিষয়ে প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২২৭ জন প্রার্থীর প্রাক-চরিত্র বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য (আপত্তি/অসুপারিশকৃত) পাওয়া যায়।
২২৭ প্রার্থীর বিষয়ে বিরূপ মন্তব্যের কারণে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয় এবং তাদের বিষয়ে অধিকতর যাচাই-বাছাই ও খোঁজখবর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জনকে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বিবেচনা করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, সুপারিশ করা দুই হাজার ১৬৩ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৪০ জন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বিবেচনায় সাময়িকভাবে অনুপযুক্ত ২২৭ জনসহ মোট ২৬৭ জন বাদ দিয়ে অবশিষ্ট এক হাজার ৮৯৬ প্রার্থীর অনুকূলে গত ৩০ ডিসেম্বর নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত ২২৭ জনের মধ্যে যে কেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা নেওয়া হচ্ছে। পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।