South east bank ad

হত্যাকান্ডের ৩ মাস পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ

 প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২১, ০৪:২৭ অপরাহ্ন   |   মেট্রোপলিটন পুলিশ

হত্যাকান্ডের ৩ মাস পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ
 গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের এমাজিং ফ্যাশন কারখানার (মালেকের বাড়ি সংলগ্ন) গাড়িচালক পদে চাকরি করতেন জাহিদুল ইসলাম। গত ১ মার্চ রাতে কারখানার কর্মকর্তাদের ঢাকায় নামিয়ে প্রাইভেটকার নিয়ে কারখানায় ফিরছিলেন জাহিদুল। রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর মাছিমপুর এলাকার পিপলস সিরামিক কারখানার সামনে পৌঁছে কারটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে প্রস্রাব করতে নামেন। এসময় ৩/৪ জন অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারী তাকে ঘেরাও করে তার কাছ থেকে জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের বাধা দিলে দুষ্কৃতিকারীরা মাথা ও পায়ে ছুরিকাঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থলের পাশে থাকা পুলিশের টহল টিম এগিয়ে এলে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে স্থানীয় টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জাহিদের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে এ খুনের কারণ জানা যায়নি। তদন্তকালে পুলিশ সিসি টিভির ফুটেজ ও নানা তথ্য সংগ্রহ করে। ওই ফুটেজের সূত্র ধরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ শিপন ও রাব্বিকে বুধবার রাতে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদকালে তারা কারচালক জাহিদুলকে খুন করার কথা স্বীকার করে।

 প্রাইভেটকারচালক জাহিদুল ইসলামকে হত্যার ৩ মাস পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যার কথা স্বীকার করেন গ্রেপ্তার আসামিরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হাসান এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাকার দক্ষিণখান (ময়নারটেক) এলাকার ছবিরের ছেলে শিপন (২৩) এবং গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার এরশাদ নগর এলাকার রুবেল হোসেনের ছেলে রাব্বি (২১)।


BBS cable ad

মেট্রোপলিটন পুলিশ এর আরও খবর: