South east bank ad

রংপুরে কর্মজীবনের তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে সকলকে শুভেচ্ছা জানালেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার

 প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২১, ০৭:১২ অপরাহ্ন   |   মেট্রোপলিটন পুলিশ

রংপুরে কর্মজীবনের তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে সকলকে শুভেচ্ছা জানালেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার
২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের শুভ উদ্বোধন করেন। পুলিশ কমিশনার হিসেবে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে মোহাঃ আবদুল আলীম মাহমুদ এর যোগদান ২৯ জুলাই ২০১৮ তারিখে। সময়ের চাকা ঘুরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে তাঁর কর্মকালের ৩ বছর পূর্ন হলো।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রথম কমিশনার হিসেবে নবগঠিত একটি মেট্রোপলিটন পুলিশ ইউনিট সফলভাবে গড়ে তোলা ও সকল সাব-ইউনিটের দাপ্তরিক কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া সে সময়ে মোহাঃ আবদুল আলীম মাহমুদ এর জন্য ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল সদস্যের আন্তরিকতা ও কর্মস্পৃহায় যাত্রার প্রথমদিন থেকেই তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়েছিল প্রতিটি ইউনিটের কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করা। এজন্য তাদের সকলের প্রতি পুলিশ কমিশনার মোহাঃ আবদুল আলীম মাহমুদ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই মামলার সফল তদন্ত, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিশেষ শাখার কার্যক্রমসহ সকল জাতীয়, ধর্মীয় ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টসমূহে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনায় সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে এসেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।

গোয়েন্দা শাখার দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে চিহ্নিত অপরাধী গ্রেফতার, ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটন, চেরাচালান প্রতিরোধ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনষ্টিক সেন্টারসহ অন্যান্য সরকারি অফিসসমূহ দালাল মুক্তকরণের মাধ্যমে নিরাপদ মহানগরী গঠন নিশ্চিত করতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ছিল সদা তৎপর।

এস্টেট এন্ড ডেভলপমেন্ট শাখার মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণ, ভবন নির্মাণ ও মেরামতসহ প্রয়োজনীয় উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্বিক কর্মকান্ডে গতি আনতে পুলিশ কমিশনার প্রয়োগ করেছেন তাঁর সর্বচ্চো প্রচেষ্টা। যার ফলে জমি অধিগ্রহণসহ বিদ্যমান সকল স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণের মত গুরুত্বপূর্ণ কর্মকান্ডে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সন্তোষজনক অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হয়েছে।

পুলিশি সেবার মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি, সেবা আধুনিকায়ন ও ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে সকল ইউনিটের দৃশ্যমান স্থানে সিটিজেন চার্টার প্রদর্শন, অভিযোগ বক্স স্থাপন, অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও নিজস্ব ফেসবুক পেজ চালু করার উদ্যোগ গ্রহণে তাঁর ছিল আন্তরিক প্রচেষ্টা। ফলাফলে সামাজিক যোগাযোগের সকল মাধ্যমে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সফল পদচারণা নিশ্চিত হয়েছে।  

জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার “লক্ষ্য ১৬ঃ শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান’-এর লক্ষ্যসমূহ পূরণে বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ সরকারের সরাসরি অংশীদারি প্রতিষ্ঠান। ২০৩০ সালের মধ্যে বিবৃত লক্ষ্যসমূহ পূরণকল্পে ইতোমধ্যে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিটি থানায় সার্ভিস ডেলিভারি ডেস্ক স্থাপন, ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু ও ঝুঁকিপূর্ণ গ্রুপ (মহিলা, শিশু, বয়স্ক নাগরিক ইত্যাদি) এর জন্য পৃথক ডেস্ক স্থাপন করাসহ সময়ে-সময়ে প্রণীত সরকারের প্রতিটি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পুলিশ কমিশনার গ্রহণ করেছেন প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ। জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে, মাদক, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ ও গুজব প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ এবং এসকল কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষার মাধ্যমে অপরাধ প্রতিরোধের সার্বিক ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

মহানগরী এলাকার জন্য নবগঠিত পৃথক সিএমএম (চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট) আদালতের সাথে সকল প্রকার সমন্বয় স্থাপনের ত্বরিত উদ্যোগ গ্রহণ করে দীর্ঘদিনের মামলাজট নিরসনসহ চলমান মামলা নিষ্পত্তিতে গতি প্রদানের জন্য কমিশনার মোহাঃ আবদুল আলীম এর নিরন্তর প্রচেষ্ঠা চলমান।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার, আইনের শাসন, মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সভা-সেমিনার আয়োজন করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে যুগোপযোগী ও দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রেনিং স্কুল।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাকালীন সকল ডকুমেন্টস, প্রকাশিত স্যুভেনিরসহ অন্যান্য প্রকাশ ও সংরক্ষণযোগ্য নথিপত্র নিয়ে কালানুক্রমিক ঘটনাপঞ্জি সুসজ্জিতভাবে উপস্থাপন করে প্রতিষ্ঠা করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আর্কাইভ।

জনসাধারণকে পুলিশিং ব্যবস্থায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে কমিউনিটি পুলিশিং ধারণাকে জনপ্রিয় করে অধিভূক্ত প্রতিটি এলাকায় গঠন করেছেন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি। পুলিশিংকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাবার জন্য বিট পুলিশিং ব্যবস্থার মাধ্যমে সমগ্র মহানগরীকে ৫৫টি বিটে ভাগ করে, প্রতিটি বিটের দায়িত্বে একজন চৌকস অফিসারকে নিয়োজিত করা হয়েছে।

গতানুগতিক পুলিশিংয়ের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে পুলিশ কমিশনারের নিজস্ব উদ্যোগে “মানবতার বন্ধনে রংপুর” নামে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান গঠন করে সমাজের স্বেচ্ছাসেবী মনোভাবসম্পন্ন স্বচ্ছল নাগরিকদের অনুপ্রাণিত করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ, মহামারি-কালীন ত্রাণ সহায়তা, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন, কম্বল বিতরণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণে গাছের চারা বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোহাঃ আবদুল আলীম।

করোনা ভাইরাসজনিত চলমান মহামারী মোকাবেলায় তাঁর দিক নির্দেশনায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গৃহীত কার্যাবলির মধ্যে জনসচেনতা তৈরিতে লিফলেট বিতরণ, অফিসার, ফোর্স ও নগরবাসীর মাঝে স্বাস্থ্যবিধান সামগ্রী (মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান, ফেইসশিল্ড, গগলস, পিপিই ইত্যাদি) বিতরণসহ জলকামান ব্যবহার করে শহরময় জীবাণুনাশক স্প্রে প্রভৃতি কার্যক্রম জনসাধারণসহ গণমাধ্যমের ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।

সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে, ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অদম্য প্রচেষ্টার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আবারও সকৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জানান পুলিশ কমিশনার। এ যাত্রায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রথম পুলিশ কমিশনার হিসেবে তাঁর তিন বছর পূর্তিতে ইউনিটের প্রতিটি সদস্য ও সম্মানিত নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এসময় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এর প্রথম পুলিশ কমিশনার মোহাঃ আবদুল আলীম মাহমুদ, বিপিএম, বলেন- সকলের সর্বাঙ্গীন সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আমি আমার ও আমার পরিবারের সকলের মঙ্গলের জন্য আপনাদের শুভকামনা প্রার্থী।
BBS cable ad

মেট্রোপলিটন পুলিশ এর আরও খবর: