ঈদের পর গুলশান থেকে শুরু হচ্ছে অভিযান- মেয়র আতিকুল ইসলাম
 
                                                                                                ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, গুলশান-বনানীসহ অনেক জায়গায় বাসা-বাড়ির পার্কিংয়ের অনুমোদন নিয়েছে রাজউক থেকে। কিন্তু পার্কিংয়ের জায়গায় দোকান দিয়েছেন। ফলে কার পার্কিং হয় রাস্তার মধ্যে। তাই আমি তাদের উদ্দেশে বলবো আপনাদের দিন কিন্তু শেষ। ঈদের পর থেকে রাজউক এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সংশ্লিষ্টদের সাথে নিয়ে আমরা গুলশান থেকে অভিযান শুরু করবো।
আজ (বুধবার) বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বাসা-বাড়ির পয়োবর্জ্যের নোংরা ড্রেনের মধ্যে ফেলার বিষয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, জুন-জুলাই-আগস্ট এই তিন মাস পরে সেপ্টেম্বর থেকে আমরা প্রত্যেকটা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চেক করতে চাই, আপনারাও চেক করবেন.. যারা কথা শুনবে না তাদের লিস্ট দেবেন। আমরা গিয়ে বাড়ির ভেতরে আবার কলা গাছ থেরাপি করে দেব। আমরা তাদের তিন মাসের জন্য সময় দিচ্ছি।
তিনি বলেন, খালগুলোকে আমরা দখল করে ফেলছি। দুই ধরনের দখল আছে... পরিবেশগতভাবে আমরা দখল করছি। আর একটা দূষণের মাধ্যমে দখল করছি। এমন কোনো বর্জ্য নেই...তরল বর্জ্য থেকে কঠিন বর্জ্য সব আমরা খালে ফেলছি। 
মেয়র বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে হবে, তাদের মেসেজগুলো দিতে হবে যে এই শহর আমাদের, এই দেশ আমাদের। আমাদের কাজ এই দেশকে রক্ষা করা। এই দেশ থেকে আমরা উপার্জন করছি। এই দেশ থেকে সবাই আমরা শুধু নিচ্ছি কিন্তু কিছু দিচ্ছি না। দিচ্ছি সেটা খালের মধ্যে জাজিম এবং বালিশ ফেলে দিয়ে নোংরা আবর্জনা করে। 
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমাদের এই দেশটা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছেন। জীবন দিয়ে স্বাধীন করেছেন। 
আতিকুল ইসলাম বলেন, এই দেশকে দখলমুক্ত এবং দূষণমুক্ত করতে হলে আমাদের মনের ইচ্ছাটা লাগবে। আমার না, আমাদের। আমরা সবাই চিন্তা করি আমার। আমার আর কত দরকার। আমার কি খালের পাড়ে বিল্ডিং করে খাল ধ্বংস করা দরকার? আমার কি মাঠ দখল করে বাড়ি বানানো দরকার? আমরা কি এটা খাইতে পারবো নাকি কবরে নিয়ে যেতে পারবো। পারবো না। তাহলে আমরা খামোখা মানুষের বদ দোয়া করাবো কেন? আজ যে গাছ লাগানো হচ্ছে এটার কারণে সদকায়ে জারিয়া হবে। এই গাছ ছায়া দেবে, মানুষ নিচে বসে থাকবে। এটাকে সাদকায়ে জারিয়া বলা হয়।  
গাছ লাগানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে এই বছরে ২ লাখ গাছ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে লাগাচ্ছি। কথা বলা সহজ কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ করা অনেক কঠিন। তাই গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমরা ৪৭ জন মালি নিয়োগ করতে যাচ্ছি। 
তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে যারা আমাদের কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধন নিতে আসে তাদের প্রত্যেককে আমরা একটি করে গাছের চারা উপহার দিচ্ছি। কারণ যে বাচ্চা জন্ম নিবন্ধন করতে আসছে যেখানেই গাছটা লাগাক যখন ১০ বছর হবে তখন গাছের বয়সও ১০ বছর হবে। সেই বাচ্চা ওই গাছ থেকেই অক্সিজেন পাবে। ছাদে যারা ছাদবাগান করবেন তাদের জন্য ট্যাক্সের ওপর ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া  হবে।  
                                

 
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                  
 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            