South east bank ad

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকটিভিটি কমিটি গঠন করেছে সরকার

 প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২১, ০৩:০১ অপরাহ্ন   |   সরকার

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকটিভিটি কমিটি গঠন করেছে সরকার
 সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়ন করছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উক্ত নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়ন করছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করার জন্য রোববার (০৪ জুলাই) কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।


এতে বলা হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্কারণ) অনুসরণ করার জন্য ২০২০ সালের ৭ মে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। পরিপত্র যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা- তা পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা এবং কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারী নির্দেশনা অমান্য করলে তা পর্যালোচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে এই কমিটি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন অধিশাখা) মো. আবুল হাছনাত হুমায়ুন কবীরকে সভাপতি করে এই কমিটি গঠন করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিধি-৪ শাখা) কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, উপসচিব (অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ-৩ শাখা) এএসএম মস্তিাফিজুর রহমান, উপসচিব (সিপি-১ শাখা) খালিদ মেহেদী হাসানকে সদস্য এবং সিনিয়র সহকারী সচিব (পরিবহন শাখা) মো. আব্দুস সালাম চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে এই কমিটি গঠন করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষত ফেসবুকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য সম্বলিত কোনো পোস্ট দেয়া ও লাইক-শেয়ার দিলে আইনানুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রেখে গতবছরের ৭ মে ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ নিয়ে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এছাড়াও পরিপত্রে নিজ অ্যাকাউন্টে কেউ ‘ক্ষতিকারক কনটেন্ট’ দিলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে দায়ী করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়াসহ 
আরো কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। এর আগে ২০১৫ সালের ৪ নভেম্বর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়ে নির্দেশনা জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপর বিভিন্ন সময় ওই নির্দেশনা পরিমার্জন করা হয়।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, অন্য কোনো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য সম্বলিত কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার বা নিজ অ্যাকাউন্টের ক্ষতিকারক কনটেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন এবং এজন্য প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়।

সরকারি কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে পালনীয়:

>সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপেলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

>জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো রকম তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

>কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পরিপন্থি কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে এরূপ কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

>জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো সার্ভিস/পেশাকে হেয়প্রতিপন্ন করে এমন কোনো পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

>লিঙ্গ বৈষম্য বা এ সংক্রান্ত বিতর্কমূলক কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না।

>জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো বিষয় লেখা, অডিও বা ভিডিও আপলোপ, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

>ভিত্তিহীন, অসত্য ও অশ্লীল তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে।

>অন্য কোনো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য সম্বলিত পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক ও শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

পরিপত্রে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কনটেন্ট ও ফ্রেন্ড সিলেকশনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্কতা অবলম্বন এবং অপ্রয়োজনীয় ট্যাগ, রেফারেন্স বা শেয়ার করা পরিহার করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার বা নিজ অ্যাকাউন্টের ক্ষতিকারক কনটেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন এবং এজন্য প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও পরিপত্রে বলা হয়।

BBS cable ad

সরকার এর আরও খবর: