South east bank ad

জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: প্রেস উইং

 প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন   |   সরকার

জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: প্রেস উইং


অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা করছে বলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে দাবি করা হয়েছে তাকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে নাকচ করে দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং । 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্ট, তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কথা জানায়। তাতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন এক্সে (পূর্বের টুইটার) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা করছে বলে মিথ্যা তথ্য ব্যাপকভাবে ছড়ানো হয়েছে।’


গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী জাতীয় পতাকা নিয়ে ওই গুজব ছড়ায়। গুজবে দাবি করা হয়, বাংলাদেশের পতাকায় পাকিস্তান ও তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত চাঁদ-তারকার ইসলামি প্রতীক যুক্ত করা হবে।বাংলাদেশী সফটওয়্যার

ডিজিটালভাবে তৈরি কল্পিত পতাকার ছবিটির ভিউ সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। বিশেষত পাকিস্তান, তুরস্ক ও মধ্যপ্রাচ্যের দর্শকদের মধ্যে এটি ভাইরাল হয় বেশি। প্রেস উইং বলছে, যে তথ্য ও ছবি ভাইরাল হয়েছে তা ‘সম্পূর্ণ মিথ্য ’।


১৪ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত কোনো গণমাধ্যম এমন পরিকল্পনা বা আলোচনার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

ফ্যাক্ট চেক জানায়, ‘এই বিষয় নিয়ে জাতীয়ভাবে কোথাও আলোচনা হয়েছে এমন কোনো ভিত্তি নেই। কিংবা দেশি বা আন্তর্জাতিক নির্ভরযোগ্য কোনো সংবাদমাধ্যম এই পদক্ষেপের কথা কোথাও উল্লেখ করেনি।’

 
বাংলাদেশি ফ্যাক্ট-চেকিং প্ল্যাটফর্ম 'দ্য ডিসেন্ট' জানায়, ‘ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় একটি ভুয়া প্রতিবেদন প্রচার করেন যার শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশ তার পতাকায় পাকিস্তান ও তুরস্কের অনুকরণে ইসলামি চাঁদ যোগ করার কথা ভাবছে’ যা এআই দিয়ে তৈরি করা এবং লেখক রবার্ট ব্রাউনের নামে ৬ জুন প্রকাশিত হয়।


এই ভুয়া প্রতিবেদনটিতে কোনো তথ্যসূত্র, প্রমাণ বা যাচাইযোগ্য উৎস নেই।


প্রেস উইং জানায়, এই মিথ্যাচার পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহার করে জাতীয়তাবাদী বা রক্ষণশীল শ্রোতাদের মধ্যে পরিচয় ভিত্তিক উত্তেজনা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে। এআই প্রযুক্তিতে তৈরি পতাকার ছবি প্রমাণ করে, যে তথ্য ছড়ানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, এমন কোনো বিষয় শেয়ার করার আগে তা যেন যাচাই করে নেন। বাংলাদেশে জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের পক্ষে কোনো আন্দোলন বা দাবি নেই, এবং এসব কল্পিত গল্প কেবল সত্যকে বিকৃত করে অপ্রয়োজনীয় বিভেদ তৈরি করতে চায়। 

প্রেস উইং বলছে, ‘চলুন আমরা সত্য তথ্যকে প্রাধান্য দিই এবং ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকি।
BBS cable ad

সরকার এর আরও খবর: