সিআইডি পরিচয়ে ফোন করে প্রতারণা, আটক ৩
সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়ে মোবাইল ফোনে একাধিক কল করতো একটি চক্র। এরপর মামলা ও গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতো মোটা অঙ্কের টাকা। এমন অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মে) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) হবিগঞ্জ ক্যাম্পের মেজর সৌরভ মো. অসীম শাতিলের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে চক্রের তিনজনকে আটক করা হয়।
এরা হলেন, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বাগুনিপাড়া গ্রামের মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে ফয়সল শাহ (৩৫), চুনারুঘাট উপজেলার টেকেরঘাট গ্রামের রজব আলীর ছেলে কামাল মিয়া (২২) ও মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার পাকশাইল গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের ছেলে কাউছার মিয়া (৩৯)।
র্যাব জানায়, ফয়সল, কামাল ও কাউছারের সমন্বয়ে গঠিত চক্রটি এক সপ্তাহ আগে কুমিল্লা জেলার একজন ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেন। থানায় মামলা হয়েছে জানিয়ে গ্রেফতার থেকে বাঁচতে চাইলে ব্যবসায়ীর কাছে কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন তারা। ওই ব্যবসায়ী ভয় পেয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাদের দুই লাখ টাকা পাঠান।
পরবর্তীসময়ে আরও টাকা দাবি করলে ব্যবসায়ী র্যা ব কার্যালয়ে আসেন এবং জানতে পারেন সিআইডি পরিচয়ধারী এ তিনজন প্রতারক। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই র্যা। ব তিনজনকে আটক করেছে।
র্যাব হবিগঞ্জ ক্যাম্পের মেজর সৌরভ মো. অসীম শাতিল বলেন, আটক তিনজন প্রথমে একজনের পরিচয়, কার সঙ্গে চলাফেরা করেন এবং তিনি কী করেন- এসব বিষয়ে খোঁজ নেন। এরপর র্যােব পরিচয়ে কল করে মামলা হয়েছে বলে জানান। পরে বাকি দু’জন পুলিশ ও সিআইডি পরিচয় কল দিয়ে বলেন গ্রেফতার থেকে বাঁচতে হলে টাকা দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, একাধিক মানুষের সঙ্গে ওই তিনজনের এমন প্রতারণার সত্যতা পাওয়া গেছে। ধরা না পড়ার কৌশল হিসেবে তারা একেকবার একেকজন বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে টাকা আনতেন। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে এবং চক্রটির সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছেন কিনা খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।