মুকসুদপুরে করোনা সংক্রমণরোধে সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন
মেহের মামুন (গোপালগঞ্জ):
করোনা সংক্রমণরোধে মঙ্গলবার (২২জুন) থেকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ৯ দিনের সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষনা করা হয়েছে। সোমবার বিকালে মন্ত্রী পরিষদের উপ সচিব মো: রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পরিপত্র জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। এ লকডাউন চলবে আগামী ৩০ জুন মধ্য রাত পযর্ন্ত। লকডাউন নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসন।
মুকসুদপুর উপজেলায় সর্বত্র লকডাউন নিশ্চিতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মুকসুদপুর প্রশাসন মাঠে থেকে কার্যক্রম চালিয়েগেছে। মুকসুদপুর উপজেলার সকল দোকান পাট বন্ধ রাখা হয়েছে শুধু মাত্র ওষুদের দোকান ব্যাতিত। কাঁচা বাজার খোলা রাখা হয়েছে সকাল ৮ টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। মুকসুদপুরের সকল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উপজেলার বাইরে থেকে কোন ধরনের যানবাহন মুকসুদপুর সীমানায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা । যেসকল যানবাহন প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলো তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং বেশকিছু যানবাহনকে জরিমানা করা হয়েছে।
লকডাউন নিশ্চিতে মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোবায়ের রহমান রাশেদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাবির মিয়া, সহকারী কমিশনার ভুমি আসমত হোসেন, মুকসুদপুর থানার ওসি মো: আবু বকর মিয়া, ইন্সপেক্টর তদন্ত আমিনুর রহমান, মুকসুদপুর থানার সেকেন্ড অফিসার সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম শিকদার, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হায়দার হোসেন, উপজেলা কৃষকলীগ নেতা সরদার মজিবুর রহমান, মুকসুদপুর পৌর সভার প্যানেল মেয়র মুন্সী আনোয়ার হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান মোল্যা প্রমুখ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ ও প্রশাসনের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে স্থানীয় প্রশাসন করোনা সংক্রমরোধে গোপালগঞ্জ পৌর এলাকা, সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়ন, কাশিয়ানী উপজেলা সদর ও মুকসুদপুর উপজেলা সদরে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষনা করেছিল। তা চলমান থাকতেই এ আদেশ জারি করা হলো।
মুকসুদপুর থানার ওসি আবুবকর মিয়া জানান গোপালগঞ্জ জেলার প্রবেশদ্বার ঢাকা খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুরে চন্ডিবরদী, বরইতলা, টেকেরহাট বসানো হয়েছে শক্তিশালি চৌকি। মন্ত্রিপরিষদের পরিপত্রের বাইরে কোন যানবাহন আসা যাওয়ার ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছে পুলিশ। এছাড়া প্রধান প্রধান বাজার ও আন্ত:সড়ক গুলোতে বিট অফিসার ও কমিউনিটি পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও আনসার বাহিনী কাজ করছে। জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহনে লকডাউন কার্যকর হচ্ছে।
মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোবায়ের রহমান রাশেদ জানান, ২২ শে জুন থেকে আগামী ৩০ শে জুন পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষনা করা হয়েছে। লকডাউন নিশ্চিতে সার্বক্ষনিক চেষ্টা করে যাচ্ছি। মুকসুদপুরের সকল দোকান পাট বন্ধ রাখা হয়েছে। সুধু মাত্র ওষুধের দোকান খোলা রাখা হয়েছে। কাঁচা বাজার আলাদা তিনটি স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কাঁচা বাজার খোলা রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্যই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। মানুষকে ঘরে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।