পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ

খন্দকার রবিউল ইসলাম (রাজবাড়ী):
রাজবাড়ীর কালুখালি উপজেলার মাঝবাড়ী ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকায় আসামি ধরতে গিয়ে কালুখালী থানার পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) মারধরের শিকার হয়েছেন। তাঁকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে প্রথমে কালুখালী হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে সোনাপুর বাজারের অটোরিক্সার স্ট্যান্ডে দায়িত্বে থাকা সবুজ নামে একজন লাইন ম্যানকে ধরাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রথমকি ভাবে জানা যায় কালুখালীর মাঝবাড়ির চাঞ্চল্যকর রবিউল হত্যা মামলার আসামি ধরতে গিয়ে এ হামলার শিকার হন এসআই আশিকুজ্জামান।
উপজেলার সোনাপুর বাজারে আজ ২৬জুন শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার হওয়া এসআই আশিকুজ্জামান কালুখালী থানায় চার মাস ধরে কর্মরত আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, সোনাপুর বাজার কালুখালী ও বালিয়াকান্দি দুই উপজেলাতে পড়েছে। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কালুখালী থানার এসআই আশিকুজ্জামান সোনাপুর বাজারে আসেন। তাঁর কর্ম এলাকা কালুখালী হলেও তিনি বালিয়াকান্দি অংশ থেকে অটোরিক্সার স্ট্যান্ডের দায়িত্বে থাকা সবুজ নামের এক যুবককে আটক করে। এসআই আশিকুজ্জামান সবুজের প্যান্টের পেছনের পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিচ্ছিলেন। এ সময় সবুজ চিৎকার করে সবাইকে এগিয়ে আসতে বলেন। এ সময় সবুজের আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজনেরা এগিয়ে এসে ওই এসআইয়ের কাছে গ্রেফতারী পরোয়ানা দেখতে চান। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ড হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন এসআই আশিকুজ্জামানকে মারধর করেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসআই আশিকুজ্জামানকে ছুরিকাঘাতও করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করেন, মাসখানেক আগে এই এসআই আশিকুজ্জামানই বিল্লাল নামের অটোরিক্সা স্ট্যান্ডের একজন সিরিয়ালম্যানকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়েছেন। ঈদের আগে আলম নামের এক চায়ের দোকানদারকে পাঁচটি ইয়াবা দিয়ে ফাঁসান তিনি।
কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খন্দকার মো. আবু জালাল বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা আশিকুজ্জামানের বুকের নিচে একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নাকের ওপরেও একটি ছোট কাটা দাগ রয়েছে। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাঁকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছেন।
নবাবপুর ইউনয়িনরে চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসান আলী বলনে,, সোনাপুর বাজারটি আমার ইউনয়িনরে মধ্যে কন্তিু র্দীঘদনি অটো স্ট্যান্ডকে কন্দ্রে করে কালুখালি উপজেলার দুইটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। কে দখল নিবে কে খাবে এমন প্রতিযোগিতায় রয়েছে এরা। এ স্ট্যান্ড প্রথমে কালুখালী উপজলোর মাজবাড়ীর ফরিদ চালাতো।তাকে বাদ দিয়ে মাজবাড়ীর বিলাল হোসনেকে দায়ত্বি দেয়। সে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হওয়ার পর মাজবাড়ীর টুটুলকে দায়ত্বি দেয়। লকডাউন হওয়ার কারণে টুটুল দায়ত্বি ছেড়ে দিয়ে চলে গেলে বেতবাড়ীয়ার সবুজ মোল্যাকে দায়ত্বি দেওয়া হয়। সবুজ দায়ত্বি পালন করাকালীন সময়ে মাজবাড়ীর হাফজিকে দায়ত্বি দওেয়া হয়। এনেিয় সবুজ ও হাফজি গ্ররুপে মধ্যে দ্বন্দ শুরু হয়। শনবিার সাড়ে ১১টার দেিক কালুখালী থানার এস,আই আশকিুর রহমান এসে সবুজরে হাতে হ্যান্ডকাপ দয়ে এবং ওয়ারন্টে আছে বলে প্রকাশ করে। কন্তিু ওয়ারন্টে দখোতে না পারায় স্থানীয় লোকজনরে সাথে কথাকাটাকাটরি এক র্পযায়ে ওই ঘটনার সৃষ্টি হয়। ইয়াবা দিয়ে ফাসানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আমি শুনেছি সবুজের মুখে যে ঐ পুলিশের এস আই সুবজের প্যাকেটের মধ্যে কিছু একটা ঢোকানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেটা কি আমি তা বলতে পারবো না। তবে সবুজ খব ভালো ছেলে তার নামে কোন মামলা নেই।
কালুখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল গনি বলেন, এসআই আশিকুজ্জামান একজন কনস্টেবলকে নিয়ে হত্যা মামলার আসামি বাবুল মোল্লাকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিলেন। পরে আসামীকে আটক করে মোটরসাইকেলে নিয়ে উঠানোর সময় স্ট্যান্ড থাকা কিছু লোকজন আসামীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় সবুজের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে তাঁকে ঘাত করা হয়েছে। তবে মাদক দিয়ে যুবককে ফাঁসানোর অভিযোগ অসিকার করে তিনি বলেন ঐ এলাকার লোকের অভ্যাসই এমন আসামী ধরতে গেলেই এমন মিথ্যা অভিযোগ করেন। সবুজকে আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, আসলে ভুল করে বাবলু মোল্লার যায়গায় সবুজকে আটক করে ফেলে আশিকুজ্জামান। মূলত ভুল করছে আমাদের স্রোস বাবলু মোল্লার স্থানে সবুজকে দেখিয়ে দিয়েছিল। যে কারনে স্থানীয়দের সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয়। এঘটনায় সবুজ মোল্লা (২২) ও রিপন মোল্লা ৩৪কে আটক করা হয়েছে।