তামাকের বিরুদ্ধে এখনই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে- সাবের হোসেন চৌধুরী
তামাক মুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের করনীয় বিষয়ক আজকের সামাজিক সচেতনতা মূলক সম্মেলন ও আলোচনা সভায় সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি তামাক ব্যবহারের ক্ষতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
আলোচনা সভায় তিনি বলেন ,সড়ক দূর্ঘটনা বা যেকোন প্রাকৃতিক দূর্যোগে প্রাণহাণির চেয়ে তামাক ব্যবহার জনিত কারণে মৃত্যুহার অনেক বেশি। তামাক চাষের ক্ষেত্রে কৃষি জমিতে অত্যন্ত ক্ষতিকারক ক্লোরিন, বিভিন্ন রাসায়নিক ও কীটনাশকের ব্যবহার করার ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাস, পানি ধারণ ক্ষমতা নষ্ট এবং ক্ষয় বৃদ্ধি পায়।
এসকল ক্ষতিকর রাসায়নিক নদী ও জলাশয়ের পানিতে মিশে পানি দূষিত করছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক হুমকিস্বরূপ। তামাক পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য প্রতিনিয়ত নির্বিচারে বনজ, ফলজ, ঔষধিসহ সব রকম গাছ কেটে চুল্লিতে ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। যা আমাদের জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ ও জলবায়ুর মারাত্বক পরিবর্তন করছে।
পরিবেশ রক্ষা ও জনস্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
অর্থনৈতিক, সামাজিক ও স্বাস্থ্য অধিকার রক্ষায় তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রয় জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বাংলাদেশকে ২০৪০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ তামাক মুক্ত করনে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রত্যয় বাস্তবায়নের সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। তাই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায় থেকে তরুণ প্রজন্ম সহ দেশের আপামর জনসাধারণের স্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকের বিরুদ্ধে এখনই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সকলকে আহবান জানাচ্ছি।