শিরোনাম

South east bank ad

চাল সরবরাহে চুক্তি না করায় যশোরে ৬২ মিলের লাইসেন্স বাতিল

 প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন   |   দেশ

চাল সরবরাহে চুক্তি না করায় যশোরে ৬২ মিলের লাইসেন্স বাতিল

আমন মৌসুমে যশোর সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তি না করায় ৬২ চালকলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ না করায় কয়েকটি মিল মালিকের জামানত কাটা হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেফাউর রহমান।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চুক্তিযোগ্য ১৬৩টি চালকলের মধ্যে চুক্তি করেছে ১০১টি। এ তালিকায় রয়েছে সদর উপজেলায় ১১টি, মণিরামপুরে ১৫, কেশবপুরে ২৬, অভয়নগরে ৪, ঝিকরগাছায় ৭, শার্শায় ১৮, বাঘারপাড়ায় ৫ ও চৌগাছায় ১৫টি চালকল। চুক্তি করেনি ৬২টি চালকল। এগুলোর মালিকের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া লাইসেন্সের মধ্যে ১০টি অটো ও ৫২টি হাসকিং রাইস মিল রয়েছে।

সূত্র জানায়, আমন মৌসুমে যশোরে চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৪ হাজার ২৪৭ টন। এর মধ্যে ১০১টি মিল মালিক আমন মৌসুমে ৭ হাজার ৩৭০ টন চাল সরবরাহ করেছেন। ফলে আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক চাল সংগ্রহ হয়েছে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে চুক্তিবদ্ধ কয়েকজন মিল মালিক বলেন, ৪৭ টাকা কেজি দরে চাল কিনছে সরকার। বাজারে চালের দামের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত দামের বিস্তর পার্থক্য। একদিকে বিদ্যুতের দাম বেশি, অন্যদিকে শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। সেই সঙ্গে বাড়তি দামে ধান কিনে চাল তৈরি করে প্রতি কেজির দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ২-৩ টাকা বেশি পড়ছে। এতে লোকসান হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেফাউর রহমান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যশোরে ৬২ জন মিলার চুক্তি না করায় লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া যেসব মিল মালিক চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ করেননি, তাদের জামানত কাটা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ২ শতাংশ মূল্য জামানত রাখা হয়। যেসব মিল মালিক অর্ধেকের বেশি চাল সরবরাহ করেছেন, তাদের জামানত আনুপাতিক হারে কাটা হয়েছে। আর অর্ধেকের কম চাল সরবরাহ করলে তাদের জামানত সম্পূর্ণ কাটা হয়েছে।

BBS cable ad