ঘুষকাণ্ডে সেই পিপির আইনজীবী সনদ স্থগিত

ঘুষকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. রুহুল আমিন শিকদারের আইনজীবী সনদ স্থগিত করেছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। একই সঙ্গে রুহুল আমিনের বিষয় তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বার কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাটর্নি জেনারেল ও বার কাউন্সিল চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান।
পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি ও জেলা জামায়াতের রুকন মো. রুহুল আমিন শিকদারকে দলীয় দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় তার বিরুদ্ধে (২২ আগস্ট) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে বিষয়টি যাচাইয়ে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
একই অভিযোগে গত ২১ আগস্ট জেলা আইনজীবী সমিতি জরুরি সভা আহ্বান করে।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে রুহুল আমিনের প্রাথমিক সদস্যপদ স্থগিত এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করার পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বার কাউন্সিল সচিব জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন পরবর্তী কাউন্সিল সভায় দাখিল করা হবে। বার কাউন্সিলের ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় পিপি রুহুল আমিনের সনদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
বিষয়টি তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল)।’
প্রসঙ্গত, গত ২০ আগস্ট সকালে কলাপাড়ায় একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামির জামিনের জন্য বিচারকের বাসায় ৫০ হাজার টাকা সংবলিত একটি খাম ও মামলার নথিপত্র পাঠান পিপি রুহুল আমিন। এ ঘটনায় বিচারক নীলুফার শিরিন নিজেকে অপমানিত বোধ করে বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বিচারক অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, এর আগেও একই মামলার এক আসামির জামিনের জন্য রুহুল আমিন তাকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েছিলেন।