আগুন-পেট্রলবোমা হামলাকারীদের ধরিয়ে দিলে পুরস্কার: ডিএমপি কমিশনার

চলমান অবরোধের মধ্যে যারা সহিংসতা-নাশকতা করছে, যারা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে ও পেট্রলবোমা মারছে তাদের ধরিয়ে দেবার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের(ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
সোমবার (৬ নভেম্বর) ডিএমপির সঙ্গে পেট্রল পাম্প মালিক সমিতির নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সময় এ কথা বলেন তিনি৷
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিভিন্ন স্থানে যারা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, পেট্রল বোমা মারছে, সহিংসতা নাশকতা করছে তাদের অনেককে আমরা হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছি। অনেক নাশকতাকারীকে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকাকে নিরাপদ করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদা তৎপর রয়েছে। পুলিশ দিনরাত কাজ করছে। প্রত্যেক পেট্রল পাম্পে রাতের বেলা একবার করে হলেও পুলিশ খোঁজ নিচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মসূচি অবরোধ চলাকালে পুলিশের অ্যাক্টিভিটিস কিন্তু দৃশ্যমান। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করছে। আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রমও অব্যাহত আছে।
কমিশনার আরও বলেন, ঢাকা অনেক বড় শহর। অনেক মানুষের বসবাস এখানে। কিছু কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। পুলিশ কিন্তু অনেক ঘটনা নিবৃত্ত করেছে। অনেককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। হাতেনাতে অনেককে আটক করা হয়েছে। হাতেনাতে আটক করার ক্ষেত্রে যারা আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন তাদেরকেও আমরা নগদ পুরস্কার দেব।
তিনি বলেন, কীভাবে নিরাপদে আমরা সামনের দিনগুলো চলতে পারি, এটাই এখন আমাদের মূল উদ্দেশ্য। একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি চলছে। আপনারা জানেন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এটা সবাইকে মেনে নিতে হবে। কারণ আমরা একেকজন একেক দল পছন্দ করি৷
রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জ্বালাওপোড়াও ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ হচ্ছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সচেতন নাগরিক হিসেবে পরিবহন সেক্টরের দায়িত্বশীল হিসেবে প্রতিরোধ গড়তে হবে। এ ধরনের দুর্ঘটনা যাতে কেউ ঘটাতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি পেট্রল পাম্প মালিকদের অনুরোধ করে বলেন, এর আগে কিন্তু হরতাল অবরোধের সময় পেট্রল পাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছিল, সেজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়ম রয়েছে মাসে অন্তত একবার পেট্রোল পাম্প ভিজিট করতে যাওয়া। আমাদের অফিসাররা অনেক সময় হয়তো ব্যস্ত থাকায় যেতে পারেন না। এখন যদি আমাদের অফিসাররা যায় তাহলে আপনার সহযোগিতা করবেন, তথ্য দেবেন। কোনো সমস্যা হলে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করুন৷ পেট্রোল পাম্পের সিসি ক্যামেরা স্থাপন করুন। পুরো পেট্রোল পাম্প এলাকার সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকে সেটি নিশ্চিত করুন।