লক্ষ্মীপুরের সজিব হত্যাকাণ্ড অরাজনৈতিক: পুলিশ সুপার

লক্ষ্মীপুরে কৃষকদল নেতা সজিব হোসেন হত্যাকাণ্ড অরাজনৈতিক। পুলিশ বা কারও গুলিতে নয়, ধারালো অস্ত্র বা ছুরির আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ। বুধবার বেলা সোয়া ১১টায় নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, মরদেহ উদ্ধারের স্থান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সজিব আহত অবস্থায় ফিরোজা ভবন নামে একটি বাসায় ঢুকে পড়ে। মৃত্যুর আগে সেখানকার এক ব্যক্তির সঙ্গে সজিবের কথা হয়েছে। সজিব ওই ব্যক্তিকে বলেছে, তিনি বিএনপির প্রোগ্রামে আসেননি। চার-পাঁচজন লোক তাকে কুপিয়েছে। তার কাছে তারা টাকা পায়। এরপর সজিব আর কোনো কথা বলতে পারেননি।
মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ঘটনাস্থলে থাকা ব্যক্তিরা ৯৯৯-এ কল করে সজিবের চিকিৎসার জন্য পুলিশের সহযোগিতা চান। কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স চালককেও কল করেন। কিন্তু বিএনপির সঙ্গে হামলার ঘটনার কারণে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা যেতে পারেননি। পুলিশ যাওয়ার আগেই প্রচুর রক্তক্ষরণে সজিব মারা যান।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির হামলায় আমাদের ২৫-৩০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিএনপির লোকজন হাসপাতাল, দোকান ও ঘর ভাঙচুর করেছে। এছাড়া আগুন দিয়ে কয়েকটি মোটরসাইকেলেও পুড়িয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা ও কত রাউন্ড রাবার বুলেট, টিয়ারশেল, গুলি ছোড়া হয়েছে এ বিষয়ে পুলিশ সুপার কিছু জানাননি।
প্রসঙ্গত, বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলার পর লক্ষ্মীপুরে কৃষকদল নেতা সজিব হোসেনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সজিব সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ধন্যপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। তিনি চন্দ্রগঞ্জ থানা কৃষকদলের সদস্য। বুধবার দুপুরে ধন্যপুর গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।