পুলিশ সুপারের মধ্যস্থতায় রজনী খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার

মোছাঃ রজনী খাতুন (২১) এর সাথে অনুমান ০৫ বছর পূর্বে মোঃ রফিকুল ইসলাম (২৪) এর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। তাদের সংসার জীবনে ফুটফুটে একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর হতে যৌতুকের দাবিতে মোঃ রফিকুল তার স্ত্রী রজনী খাতুনের সাথে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে রফিকুল রজনী খাতুনকে শরিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। ইতোমধ্যে রজনী খাতুন যৌতুক দিতে ব্যার্থ হওয়ায় রফিকুল রজনী খাতুনকে তালাক দেয়। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে রফিকুল রজনী পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিছুদিন না যেতেই রফিকুল রজনী খাতুনকে পুনরায় শরিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। রজনী খাতুন বিভিন্ন জায়গায় তার সমস্যার সমাধান চেয়ে যোগাযোগ করেও কোন সমাধান না পেয়ে। অবশেষে তার অসহায়ত্ব থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য তার মা মোছাঃ ময়না খাতুনকে সাথে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার এর নিকট আসেন। পুলিশ সুপার উক্ত বিষয়টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তার কার্যালয়ে অবস্থিত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এর দায়িত্ব প্রাপ্ত এএসআই (নিরস্ত্র) মিতা রানী কে দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উভয় পক্ষকে আজ (৬ অক্টোবর, ২০২১) পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মোঃ রফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী মোছাঃ রজনী খাতুনের সাথে পুনরায় সংসার করতে ও সন্তানের ভরণ পোষন দিতে সম্মত হয়। অবশেষে চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার হস্তক্ষেপে মোছাঃ রজনী খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার।