জাল টাকা তৈরি চক্রের দুই সদস্য রিমান্ডে, তিনজন কারাগারে

রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে জাল টাকা তৈরি চক্রের সদস্য সন্দেহে গ্রেপ্তার দুইজনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এছাড়া চক্রের তিন সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- আ. রহিম শেখ ও হেলাল খান। আর কারাগারে যাওয়া তিন আসামি হলেন- আ. রহিমের স্ত্রী ফাতেমা, ইসরাফিল ও আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু হাওলাদার।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (গুলশান) অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ভাটারা থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করেন। আ. রহিম ও হেলাল উদ্দিনের ১০ দিনের রিমান্ড এবং ফাতেমা, ইসরাফিল ও আনোয়ার হোসেনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোসসাজশে বিভিন্ন জালনোট প্রস্তুত করে প্রতিনিধির মাধ্যমে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সু-কৌশলে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতারণার মাধ্যমে বাজারজাত করে আসছিল। গ্রেপ্তার এই আসামিরা সহযোগী আসামিদের সাথে পরস্পর যোগসাজসে বাংলাদেশি জাল নোট তৈরি করে বাজারজাত করে থাকে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে জব্দ করা জাল টাকা তৈরির সহযোগী, মদদ দাতাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ এবং জালনোট তৈরির কাজে সহযোগী পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষে আ. রহিম ও হেলাল খানের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
করোনাকালীন দুর্যোগের কারণে আপাতত ফাতেমা, ইসরাফিল ও আনোয়ার হোসেনের রিমান্ড চাওয়া হয়নি। পরবর্তীতে তাদের রিমান্ড আবেদন করা হবে। এ অবস্থায় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
দুই আসামির রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন এবং অপর তিন আসামির জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের রিমান্ড ও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই রনপ কুমার ভক্ত এসব তথ্য জানান।
এর আগে সোমবার ভাটারায় জাল টাকা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৪৩ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এসময় স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, দুটি কালার প্রিন্টার, বিপুল পরিমাণ আঠা এবং বিভিন্ন ধরনের রংসহ নানা উপকরণ জব্দ করা হয়।