প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সহযোগী হতে চাই: খসরু চৌধুরী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরী সিআইপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সহযোগী হতে চান।
জাতীয় সংসদের ১৯১ সংসদীয় আসন ঢাকা-১৮। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। ইতিমধ্যে ভোটের মাঠে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু করেছে ভোটারেরা। যিনি দীর্ঘদিন ধরে সব পেশার জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছেন এবং দলীয় কর্মকাণ্ডে যার অবদান রয়েছে তাকে প্রার্থী করলে ভোটারদের মধ্যে স্বস্তি আসবে বলে তারা মনে করেন। নতুন ভোটাররা জানান, প্রযুক্তির ব্যবহারে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। তাই উন্নয়নের সঙ্গে প্রযুক্তির সম্পর্ক বিদ্যমান। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি মনোনয়ন পেলে এলাকাবাসী দলে দলে তার পক্ষে কাজ করবেন বলে অনেকেই মতামত দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা-১৮ আসনে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনলেও সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরী সিআইপি। তিনি এবার এ আসনে নৌকার প্রার্থী হচ্ছেন এমন আলোচনা চলছে সর্বত্র। সম্প্রতি প্রকাশিত একাধিক জরিপে ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তার নাম উঠে এসেছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু বলেন, ‘ঢাকা-১৮ আসনের জনপ্রিয় নেতা খসরু চৌধুরী সিআইপি। তিনি জনবান্ধব, কর্মীবান্ধব, দলবান্ধব নেতা। তিনি সারা জীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন, নীতি-নৈতিকতার চর্চা করেছেন। অসহায় গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানো তার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হাতিয়ার হিসেবে স্মার্ট উত্তরা গড়তে তাকেই ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চাই।’
উত্তরখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলন বলেন, ‘দীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় ধরে খসরু চৌধুরী ঢাকা-১৮ আসনের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ঢাকা-১৮ আসনের প্রতিটি ওয়ার্ডে তার প্রতিষ্ঠিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান কে সি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নিম্নআয়ের অসহায় মানুষ, কর্মহীন, বেকার জনগোষ্ঠী, ফুটপাত ও বস্তিতে থাকা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সময়ে ঢাকা-১৮ আসনের প্রতিটি ওয়ার্ডে কে সি ফাউন্ডেশনের কর্মী বাহিনীদের নিয়ে ত্রাণ তৎপরতা চালিয়েছেন। স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিটি শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে তিনি মাসব্যাপী আলোচনা সভা ও খাবার বিতরণের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রতি বছর শীতের সময় তার পক্ষ থেকে ঢাকা-১৮ আসনের সাতটি থানা ও ১৪টি ওয়ার্ডের হাজার হাজার পরিবারের মধ্যে কম্বল বিতরণ করছেন। ঢাকা-১৮ আসনে যেখানেই মানুষ বিপদে পড়েছে সেখানেই পৌঁছেছে খসরু চৌধুরীর সহযোগিতা। নিজস্ব অর্থায়নে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল করে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। ঢাকা-১৮ আসনের দক্ষিণখান ও উত্তরাখানে তার মালিকানাধীন নিপা গ্রুপে ৩০ হাজারেরও অধিক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে মনোনয়ন দেওয়া হলে ঢাকা-১৮ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে যোগ্য খসরু চৌধুরী সিআইপি।’
এ বিষয়ে মো. খসরু চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছি। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সহযোগী হতে চাই। স্মার্ট ঢাকা-১৮ গড়া আমার অঙ্গীকার।’ তিনি বলেন, ‘আমি চাই ঢাকা-১৮ হবে মাদকমুক্ত। সন্ত্রাসের ভয় ছাড়াই মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবে। এই আসন জনগণ দ্বারা পরিচালিত হবে। যেখানে থাকবে না কোনো সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজ।’
তিনি বলেন, ‘আমি জনগণের সেবক হতে চাই। কথা দিচ্ছি সব সামাজিক সমস্যা দূরীকরণে সর্বদা জনগণের পাশে থাকব। ঢাকা-১৮ কে সব আসনের মধ্যে সেরা করার প্রয়াস নিয়ে এগিয়ে যাব।’