প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১০ সদস্যের অনাস্থা
লোহাগাড়ার কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়ম এবং সাংবাদিক ওমর ফারুক মোহাম্মদ মাসুম ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়ক এইচআর শহীদের ওপর সশস্ত্র হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে অনাস্থা জানিয়েছেন ১০ ওয়ার্ড সদস্য।
অনাস্থা জানানো ইউপি সদস্যরা হলেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. বাবুল, ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রহিম, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বশিরুল আলম শরীফ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের এম. খোরশেদ আলম, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফরমান উল্লাহ, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাহমুদুল হক, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আইয়ুব, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিম উদ্দীন, সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পারভীন আক্তার এবং ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহনাজ বেগম।
অনাস্থা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, ‘কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের ওপর আমাদের আস্থা নেই। আমরা তার অপসারণ দাবি করছি।
তিনি বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতির মাধ্যমে পরিষদের কার্যক্রম ব্যাহত করেছেন এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াই ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। নিজস্ব স্বাক্ষর ঠিকমতো দিতে পারেন না। নথিপত্র পাঠ করতে অক্ষম। যার কারণে পরিষদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি তিনি শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছেন। যা তার অযোগ্যতার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ এবং নিন্দনীয় অপরাধ। এমন আচরণ প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্বের সাথে সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ। ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনায় তিনি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। পরিষদের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। এতে সাধারণ জনগণ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে’।
অনাস্থা প্রকাশের বিষয়টি গত ২০ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইনামুল হাছানকে চিঠি দিয়ে অবগত করেছেন ওয়ার্ড সদস্যরা। তবে এখনও প্যানেল চেয়ারম্যানকে অপসারণে কোন ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত না আসায় ইউপি সদস্যদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
ইউএনও মো. ইনামুল হাছান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দায়ের করার জন্য উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর (ইউডিএফ) রানাকে দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে। তার কাছ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
উত্তর কলাউজান ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বশিরুল আলম শরীফ বাংলানিউজকে বলেন, ইউএনওকে আমরা অনাস্থা প্রস্তাব দেওয়ার পর তিনি ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদন সোমবার জমা দিবেন। সেদিন ইউএনও শুনানি করবেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।