৫০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে আ. লীগের সমাবেশে পাটমন্ত্রী ও রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এবং দেশের স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে রূপগঞ্জ থেকে ৫০ হাজার নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ আয়োজিত উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৮টায় রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা, গোলাকান্দাইল, রূপগঞ্জ, মুড়াপাড়া, দাউদপুর, কায়েতপাড়া, ভোলাবো ইউনিয়ন, কাঞ্চন এবং তারাবো পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হন। পরে তারা কাঞ্চন মায়ার বাড়ি, ভুলতা, রূপসী, তারাবো বিশ্বরোড, গাজী সেতুসহ বিভিন্ন স্পট থেকে বাসে করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে অনুষ্ঠিত সমাবেশের উদ্দেশে রওনা দেন।

পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। আওয়ামী লীগ নৈরাজ্য প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে। কেউ যদি সমাবেশের নামে নাশকতা করে তাহলে কঠোরভাবে জবাব দেওয়া হবে। আমরা উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ করব; কোনো বিশৃঙ্খলা নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শান্তি ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। তাই আমরা শান্তি ও উন্নয়ন নিয়ে সামনে এগিয়ে যাব ইনশাল্লাহ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্বনেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা রূপগঞ্জ আওয়ামী লীগ সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন বাঘের মতো সাহস নিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন, তেমনি আমরাও তাকে শক্তি জুগিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ করে দেব ইনশাল্লাহ। রূপগঞ্জ থেকে আমরা ৫০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশে যোগদানের জন্য রওনা হয়েছি। সমাবেশ সফল করে রূপগঞ্জে ফিরব ইনশাল্লাহ।

রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং গাজী গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভানেত্রী ও তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী এবং রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানুর রহমান মিজান সমাবেশের উদ্দেশে রওনা হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেন এবং সমাবেশের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

এ সময় গোলাম মোর্তুজা পাপ্পা বলেন, রংধনু গ্রুপ পরিবার ও গাজী গ্রুপ পরিবার এক পরিবার হয়েছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রূপগঞ্জ আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিয়ে যাব। যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন তা মোকাবিলা করে এবং প্রতিহত করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করব।

মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আমরা শান্তি ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। আর শান্তি ও উন্নয়নের জন্য যা কিছু করা দরকার সবকিছুই আমরা করব। রংধনু গ্রুপ পরিবার বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য কাজ করে গেছেন এবং ভবিষ্যতেও করে যাবেন। 

সমাবেশে আরও অংশ নেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসী আলম লীলা, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ আলমাস, ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আরিফুল হক ভুইয়া, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহেদ আলী, উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শিলা রানী পাল, আওয়ামী লীগ নেতা হাজি সফিকুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমন হাসান খোকন, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তানজিল আহমেদ রিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ ভূইয়া মাসুম, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়াল, কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি, ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু দাউদ মোল্লা, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক করিম পাঠান, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আলাউদ্দিন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন মেম্বার, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি জোসনা মহিউদ্দিন, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য জসিম উদ্দিন, যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা লীগ নেত্রী স্বপ্না আক্তার, যুবলীগ নেতা শওকত আলী ইমন, তারাবো পৌরসভা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনা আকতার, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেনসহ আরও অনেক নেতাকর্মী।