South east bank ad

হাইব্রিড আওয়ামী লীগের দখলে লালমোহন-তজুমদ্দিন,ত্যাগী নেতারা কোনঠাসা

 প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৩, ০১:৩২ অপরাহ্ন   |   দেশ

হাইব্রিড আওয়ামী লীগের দখলে লালমোহন-তজুমদ্দিন,ত্যাগী নেতারা কোনঠাসা

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন ক্লিন ইমেজের নেতাদের তিনি নেতৃত্বে দেখতে চান। কিন্তু বর্তমানে  ভোলা-৩ আসনের  সম্ভাব্য প্রার্থীরা বর্তমান এমপির তুলনায় অনেক ক্লিন ইমেজের

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের যে সকল ক্যাডার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে তারা এখন দলে অনুপ্রবেশ করে একই কায়দায় আওয়ামী লীগের ত্যাগীদের নির্যাতন করে যাচ্ছে।

নব্য আওয়ামী লীগাররা ভোলা-৩ ফুলে-ফেঁপে উঠছে।তারা এখন আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করেছে। প্রতিনিয়ত তাদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা।

ভোলা-৩ আসনের মানুষ পরিবর্তন চায় ।ভোলা-৩ আসনের মানুষ পরিবর্তন চাওয়ার কারণ বর্তমান সংসদ সদস্যের কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ ও তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খুবই নাখোশ। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের সরকারের আমলের চেয়েও বেশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এই এমপির আমলে।

বিএনপি-জামায়াত ও হাইব্রিডরা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদগুলো দখল করে সহজে তারা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীর ওপর পূর্বের আক্রোশের জের ধরে নির্যাতন করছে। যা খুবই দুঃখজনক। আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হলে দলকে এগিয়ে নিতে পারতো। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত হাইব্রিড দলে অনুপ্রবেশ করার কারণে তা সম্ভব হয়নি। তৃণমুলে সকল কমিটিতে আওয়ামী লীগের নেতারা বঞ্চিত।

এমনকি এলাকার বিভিন্ন স্কুল, কলেজসহ থেকে সকল কমিটিতে বর্তমান এমপির লোক বিএনপি-জামায়াত জড়িত। এছাড়া ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়নি সেখানেও হাইব্রিড বা কম জনপ্রিয় নেতাদের রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিও হাইব্রিড। এই কারণে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সকল স্তরের নেতাকর্মীদের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ইন্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী।  এজন্য তিনি  সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে লালমোহন-তজুমদ্দিন চষে বেড়াচ্ছেন।

ইন্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত করছেন গণসংযোগ। বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাকে নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় আলোচনাও আছে।

আবু নোমান হাওলাদার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন দেশের প্রতিটা মানুষকে কর্মমুখি করে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলতে।  সেই আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।তিনি মনে করেন দেশের যুব সমাজের জন্য কর্মসৃষ্টি করতে পারলে বেকারত্ব দূর হবে। বেকারত্ব দূরীকরণ করতে পারলে বাংলাদেশ সকল দিক দিয়ে হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

এছাড়া কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে মানুষকে কর্মমুখী করতে পারলে সমাজ থেকে অনেক অপরাধ কমে যাবে। তাই আমি ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই। আর তাতেই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা দেশ গড়ে তুলতে স্বক্ষম হবো।

ইন্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার বলেন, আমি এমপি হওয়ার জন্য কাজ করি না। ছাত্রলীগ থাকা অবস্থায় এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে কাজ করবো। সেটাই করে যাচ্ছি। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিমার্ণ, রাস্তাঘাট নিমার্ণ এবং আর্থিক অনুদান প্রদানসহ গরিব ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যার্তদের ত্রাণ, বেকারত্ব দূরীকরণে সেলাই মেশিন বিতরণ। এছাড়া দরিদ্রদের মধ্যে টিউবওয়েল ও টিন বিতরণ, ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি এবং এলাকার অসংখ্যা লোকজনকে চাকরির ব্যবস্থা করেছি। লালমোহন-তজুমদ্দিনসহ ভোলার বিভিন্ন এলাকায় নানা সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি।এই দুই উপজেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষি ও খেলাধুলার উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, বেকারত্ব দূরীকরণ ও উদ্যোক্তা তৈরি, নদীভাঙন রোধ, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তারে আমার গুরুত্ব বেশি থাকবে। এছাড়া লালমোহন-তজুমদ্দিনে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে অগ্রধিকার দিয়ে কাজ করবো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করার ঘোষণা দিয়েছেন। আমি যেহেতু একজন প্রকৌশলী সেখানে আমার ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে বলে আমি মনে করি। সবকিছু কিছু বিবেচনা করে আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেবেন।

BBS cable ad