South east bank ad

পর্নোগ্রাফি মামলায় শাহ পরানের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

 প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৭ অপরাহ্ন   |   দেশ

পর্নোগ্রাফি মামলায় শাহ পরানের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের শিকার নারীর বিবস্ত্র ভিডিও ছড়ানোর ‘মূলহোতা’ শাহ পরানের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার (৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার আমলি আদালত-১১ এর বিচারক মমিনুল হক এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মুরাদনগর থানার এসআই রুহুল আমিন কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত শাহপরান ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলীর আপন ছোট ভাই।
এর আগে গত ৩ জুলাই বিকেলে জেলার বুড়িচং উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১। পরদিন র‌্যাব সদস্যরা মুরাদনগর থানা পুলিশের কাছে শাহ পরানকে হস্তান্তর করেন। ৫ জুলাই সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মুরাদনগর থানার এসআই রুহুল আমিন জানান, ধর্ষণের পর পরিকল্পিতভাবে নিপীড়ন ও বিবস্ত্রের ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ‘মূলহোতা’ শাহ পরানের ১০ দিন রিমান্ড চেয়ে গত ৬ জুলাই কুমিল্লা আদালতে আবেদন করা হয়।
আজ বুধবার (৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই আবেদনের শুনানি শেষে কুমিল্লার আমলি আদালত-১১ এর বিচারক মমিনুল হক ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের বাহেরচর গ্রামের এক নারী ধর্ষণে শিকার হয়। এ সময় অভিযুক্ত ফজর আলীকে নামে এক যুবককে আটক করে পিটুনি দেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ২৭ জুন মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
এরপর অভিযানে নেমে ধর্ষণের দায়ে রাজধানী থেকে ফজর আলীকে এবং পর্নোগ্রাফি মামলায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বাহেরচর গ্রামের সুমন, রমজান আলী, মো. অনিক ও মো. আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পর্নোগ্রাফি মামলায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিন দিনের রিমান্ড শেষে মোহাম্মদ আলী সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিকসহ চার আসামিকে কুমিল্লার আদালতে হাজির করা হয়। এরআগে গত শনিবার কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের মুরাদনগর থানায় আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন পুলিশকে আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছিল। তবে আদালতে বিচারকের সামনে হাজির হওয়ার পর তারা স্বীকারোক্তি দেননি।
পরে চারজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

প্রধান আসামি পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন:
ধর্ষণের মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলী পুলিশ পাহারায় এখনো কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার সময় স্থানীয়রা তাকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেন। পুলিশ গত ২৯ জুন ভোরে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমীন জানান, ফজর আলীর শারীরিক অবস্থা এখনো তেমন উন্নতি হয়নি। তার অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দিতে অন্তত দুই মাস সময় লাগতে পারে।

BBS cable ad