মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড : ৪ আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সুমনসহ চার জনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) কুমিল্লার আমলী আদালত- ১১ এর বিচারক মমিনুল হক এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া বাকি আসামিরা হলেন- উপজেলার বাহেরচর গ্রামের রমজান আলী, মো. অনিক ও মো. আরিফ।
মুরাদনগর থানার এসআই রুহুল আমিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সুমন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের সভাপতি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তদন্তকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, মুরাদনগরের ঘটনায় করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ মামলায় গ্রেপ্তার চারজনের ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। বিচারক মমিনুল হক প্রত্যেক আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের পাওয়া তথ্যে বাকি অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
এর আগে গত সোমবার (৩০ জুন) ওই চার আসামির সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুল হকের আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, ‘গত রবিবার (২৯ জুন) বিকেলে মুরাদনগর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ওই চারজনের নামে মামলা করা হয়। সোমবার বিকেলে তাদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিচারক রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন আজ বৃহস্পতিবার।
’
পুলিশ জানায়, ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের একটি গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তি আটক ও পিটুনির শিকার হন। পরে তাকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন ভুক্তভোগী নারীর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৭ জুন) মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এরপর অভিযানে নেমে রাজধানীসহ জেলার স্থান থেকে ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।