South east bank ad

যেভাবে হদিস মিললো ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মেজর জিয়ার

 প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:২২ অপরাহ্ন   |   সেনাবাহিনী

যেভাবে হদিস মিললো ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মেজর জিয়ার

১৪ বছর পর হদিস মিলেছে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা সংক্রান্ত ঘটনায় শেখ হাসিনা সরকারের আমলের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়ার। বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন তিনি। তবে কোন দেশে তা জানা যায়নি। সম্প্রতি মামলা ও জঙ্গির তালিকা থেকে নাম কাটাতে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ আসামি।

মেজর জিয়ার দাবি, ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী হওয়ায় তাকে সামনে রেখে একের পর এক জঙ্গি নাটক সাজিয়েছে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার।

শেখ হাসিনা সরকারের তালিকায় একজন মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক। তাকে কখনো আনসার উল্লাহ (জেএমবি), কখনো বা আইএস ও আল কায়েদার সদস্য হিসেবে দেখানো হয়েছে। জিয়াকে ধরতে সে সময় ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।

ব্লগার দীপন, অভিজিৎ, জুলহাস হত্যাসহ ৭টি মামলার আসামি মেজর জিয়া। এর মধ্যে তিনটিতে মৃত্যুদণ্ড ঝুলছে তার মাথায়। বিগত ১৪ বছর তার কোনো হদিস ছিল না। এবার জানা গেল বেঁচে আছেন সৈয়দ জিয়াউল হক। গত ২৯ ডিসেম্বর আইনজীবীর মাধ্যমে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।

মেজর জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন বলেন, জিয়া আমাকে নিজে মেসেঞ্জারে ফোন দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে মামলাগুলো হয়েছে সেগুলো মিথ্যা। তিনি এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাকে ধরতে যে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে সেটা প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। পলিটিক্যাল মোটিভেটেড মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য আইন উপদেষ্টার কাছেও আবেদন করেছেন।

ব্যারিস্টার সরোয়ার বলেন, ২০১১ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ জিয়া। তবে কোন দেশে তা জানা যায়নি। এখনো আমাকে জানাননি তিনি কোথায় আছেন।

সম্প্রতি দেশের একটি টেলিভিশনকে মেজর জিয়া জানান, ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী হওয়ায় হাসিনা সরকারের রোষানলে পড়েন তিনি।

সৈয়দ জিয়াউল হক বলেন, পা চাটলে সঙ্গী, না চাটলে জঙ্গি। বিগত ফ্যাসিস্ট ভারতীয় দালাল সরকার জঙ্গি ট্যাগ ব্যবহার করে তাদের বিরোধী পক্ষকে দমিয়ে রেখেছে। আমাকেও ফাঁসানো হয়েছে। লোকজনকে বাধ্য করে চার্জশিটে আমার নাম যুক্ত করা হয়েছে।

সাবেক এ সেনা কর্মকর্তার দাবি, ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলায় টার্গেট করা হয়েছিল তাকে। ফাঁসানো হয় একের পর এক মিথ্যা অভিযোগে। শুরুতে এক সময় জঙ্গি বলা হয়। পরে আল কায়দা, আনসার আল ইসলাম বলা হয়। আরেক সময় আইএস বলা হয়। অর্থাৎ যেভাবে চাপে রাখা যায় সেভাবেই মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।

আলোচিত জুলহাজ-তনয় হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় জিয়াকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার। গত ২৫ ডিসেম্বর সেই ঘোষণা প্রত্যাহারেও মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে লিখিত আবেদন করেছেন মেজর জিয়া।

BBS cable ad