মৌলভী চা বাগানে সবুজ প্রকৃতিতে অর্ধশত শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শেষ হলো তিন দিনের আর্ট ক্যাম্প

বিডিএফএন লাইভ.কম
মৌলভী চা বাগানের সবুজ প্রকৃতিতে অর্ধশত শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শেষ হলো তিন দিনের আর্ট ক্যাম্প। সবুজ প্রকৃতিতে একাকার হয়ে আবহমান বাংলার রং তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলেন শিক্ষার্থীরা।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘মুজিব শতবর্ষ আর্ট ক্যাম্প’ ১৩ থেকে ১৫ মার্চ তিন দিনব্যাপী মৌলভী চা বাগানে অনুষ্ঠিত হয়।
তিনদিনের আর্ট ক্যাম্পে ৫০ জন শিক্ষার্থী জল রংয়ে দেড় শতাধিক ছবি আঁকেন। এর মধ্য থেকে ৫০টি ভালো মানের ছবি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করা হবে।
আর্ট ক্যাম্পের সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা ফাহিম হাসান জানান, প্রথম দিনের বিষয় ছিলো স্বাধীনভাবে যা ইচ্ছে আঁকা। দ্বিতীয় দিনের বিষয় ছিলো বাগানে মুক্তিযুদ্ধ, আমার প্রিয় গ্রাম। তৃতীয় দিনের বিষয় সবুজ বাংলাদেশ, সবুজ গাছ গাছালি।
শিক্ষার্থী রিফাহ নানজীবা দিয়া বলেন, শহরের মধ্যে বিভিন্ন চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অংশ নিয়েছি। কিন্তু এবারই ব্যতিক্রম সবুজ চা বাগানে আর্ট ক্যাম্প। প্রকৃতি দেখে ছবি একেছি, মেন্টররা ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন, পরামর্শ দিয়েছেন। অনেক ভালো লেগেছে।
নুসরাত খানম নওশীন বলেন, এই উদ্যোগটি ব্যতিক্রম। নির্দিষ্ট সময় বাঁধা ছিল না ছবি আঁকতে, মেন্টররা সঙ্গে ছিলেন, ভুল হলে ধরিয়ে দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় বিষয় চা বাগান গাছপালা দেখে দেখে আঁকতে পেরেছি। এই ধরনের ক্যাম্প বেশি বেশি হলে আমরা উপকৃত হবো। আমি একেছি চা বাগান, গ্রামের দৃশ্য, চাকমাদের বাড়ি।
ক্ষুদে আঁকিয়েদের সঙ্গে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের চারজন মেধাবী মেন্টর। তাদের সাহচর্যে রং তুলির আঁচড়ে রঙিন হয় এই ক্ষুদে আঁকিয়েদের ক্যানভাস।
এই আর্ট ক্যাম্পে পাঁচজন বিশেষ শিশু ছিলো। এই ক্যাম্পে এসে শিশুরা জল রং ব্যবহারের বিভিন্ন বিষয় ভালোভাবে রপ্ত করতে পেরেছে জানান মেন্টররা।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নিবাহী অফিসার সাবরিনা রহমান বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এসব সৃষ্টিশীল সৃজনশীলতার মাধ্যমে শিশুর শারীরিক এবং মানসিক দুটোরই বিকাশ ঘটবে। শিশুদের মনোজগতে প্রাণ প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা জন্মাবে। সব ধরনের খারাপ কাজ থেকে তারা দূরে থাকবে। তিনি বলেন, একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠনের জন্য সৃজনশীল মানুষের অসাধারণ ভূমিকা অনস্বীকার্য।