চট্টগ্রামের মাদক বিরোধী অভিযানে ২২৪ বোতল ফেনসিডিল ও ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব এর সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি প্রাইভেট কার যোগে মাদকদ্রব্য বহন করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কুমিল্লা হতে চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১১ জানুয়ারি ২০২৫ইং তারিখে আনুমানিক ১৫৩০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফকিরহাটস্থ পাকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। এ সময় র্যাবের চেক পোস্টের দিকে আসা সন্দেহজনক ০১টি প্রাইভেট কার থামানোর সংকেত দিলে গাড়িটি চেকপোস্টের সামনে থামিয়ে কৌশলে একজন ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা আসামী ১। মোঃ ইউসুফ (৩২), পিতা-মৃত নরু মিয়া, সাং-জিনিতকরা, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা এবং ২। মোঃ মুসা (৩৮), পিতা-মৃত হামিদুর রহমান, সাং-দক্ষিণ ছলিমপুর, থানা-সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রামদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশিকালে প্রাইভেট কারের পিছনে ব্যাগডালার ভিতরে বিশেষ কৌশলে রক্ষিত ০৩টি প্লাষ্টিকের বস্তা হতে ২২৪ বোতল ফেনসিডিল ও ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার জব্দসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে মাদকদ্রব্য কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীকে নিকট অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং জব্দকৃত মাদকদ্রব্য সহ অন্যান্য আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীদের চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড মডেল পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।