South east bank ad

অভিযুক্ত পলাতক আসামি মোঃ ইয়াহিয়া’কে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩

 প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫২ অপরাহ্ন   |   র‍্যাব

অভিযুক্ত পলাতক আসামি মোঃ ইয়াহিয়া’কে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩
রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতা সৃষ্টির মামলায় অভিযুক্ত পলাতক আসামি মোঃ ইয়াহিয়া @ কাজী বাবু (৫২)’কে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩।

রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন খিলগাঁও এলাকায় ২০১২ সালে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে ব্যাপক নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালায়। উক্ত ঘটনায় রাজধানীর সবুজবাগ থানায় দায়েরকৃত নাশকতা মামলার ২০১২ সাল থেকে পলাতক এজাহার নামীয় কুখ্যাত পলাতক আসামী ১। মোঃ ইয়াহিয়া @ কাজী বাবু (৫২), পিতা-মৃত আব্দুল মজিদ, সাং-২৬/দক্ষিণ বাসাবো, থানা-সবুজবাগ, ডিএমপি, ঢাকাকে অদ্য ২৫/০৩/২০২৪ তারিখ ১৪০০ ঘটিকায় রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩। 

গ্রেফতারকৃত আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জন্য বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা একত্র হয়ে রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে রাস্তা অবরোধ করে বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম চালায়। উক্ত সময় সেখানে বিআরটিসি’র একটি দোতলা বাস আসলে রাস্তা অবরোধ করে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা গাড়ি থামিয়ে লাঠি-সোটা, ইট-পাটকেল দিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে এবং গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও গাড়ির ড্রাইভার, হেলপার এবং গাড়ির যাত্রীদের এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে। বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী কার্যক্রম দেখে গাড়ির যাত্রী এবং এলাকার সাধারণ লোকজন উক্ত স্থান থেকে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের লাঠি ও ইট-পাটকেলের আঘাতে কিছুসংখ্যক সাধারণ লোকজন গুরুতর আহত হয়। গাড়ী ভাংচুরের শিকার ড্রাইভার বাদী হয়ে সবুজবাগ থানায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী ১৫ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। 

গ্রেফতারকৃত কাজী বাবু ২০১২ সালে রাজধানীর সবুজবাগ থানার ৪নং ওয়ার্ড এর বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক ছিল। উক্ত সময়ে তার নেতৃত্বে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা একাধিক নাশকতা কার্যক্রম চালায়। সে ২০১৩ সালের নাশকতা মামলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে ২০ দিন জেল খেটে  জামিনে মুক্তি পায়। জামিনে মুক্তির পর থেকেই ধৃত আসামী রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পলাতক জীবন যাপন করে আসছে। উক্ত মামলায় কাজী বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্য পলাতক সকল আসামিদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। উল্লেখ্য গ্রেফতারকৃত কাজী বাবুর বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় ০৩ টি নাশকতা মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
BBS cable ad

র‍্যাব এর আরও খবর: