রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নেয় জঙ্গিরা : সিটিটিসি প্রধান
![রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নেয় জঙ্গিরা : সিটিটিসি প্রধান](https://administrativenews24.com/uploads/225829.jpg)
ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান ও অতিরিক্তি পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, বিভিন্ন দেশে নজির রয়েছে। আমাদের দেশেও জঙ্গি সংগঠনগুলো রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগে রি-অরগানাইজ করার চেষ্টা করেছিল বিভিন্ন ফর্মে। তারা এমন পরিস্থিতির সুযোগ নেয়।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া কিংবা ইমাম মাহমুদের কাফেলার জঙ্গিরা বিভিন্নভাবে পুনঃসংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করেছিল। সিটিটিসির তৎপরতায় জঙ্গিদের সব তৎপরতাকে নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া যেভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল এটা বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের একটা বিরল ঘটনা। তাদের সব সদস্যদের সশস্ত্র প্রশিক্ষিত করে তুলবে-এমন পরিকল্পনা ইতিপূর্বে হয়নি। ঠিক তাদের মতো করতে চেয়েছিল জঙ্গি সংগঠন ইমাম মাহমুদের কাফেলা।
রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে জঙ্গি অভিযান কিছুটা ভাটা পড়েছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিটিটিসি জঙ্গিবিরোধী ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানের জন্য ডেডিকেটেড। আমাদের সেই অভিযান চলমান। গত মাসেও সিলেটের মৌলভীবাজারে বড় পাহাড়ে দুটি অভিযান চালানো হয়েছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিংবা নির্বাচনের কারণে জঙ্গি অভিযান ভাটা পড়বে না।
আগের মতোই অফলাইন ও অনলাইনে সিটিটিসির নজরদারি রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আদালত থেকে আসামি ছিনতাইসহ পালানো দুই জঙ্গির বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, গত বছরের এই দিনে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গিকে আনসার আল ইসলামের সদস্যরা ছিনিয়ে নেয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল চারজন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়া। জঙ্গি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় জেলখানা ও বাইরের মূল সমন্বয়ক পলাতক জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহেলের স্ত্রী শিখা। শিখাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। সর্বশেষ গত মাসে ঢাকার পার্শ্ববর্তী একটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয় তবে দুর্ভাগ্যবশত অভিযানের দু'তিনদিন আগে পলাতক জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহল আস্তানা ত্যাগ করে। ডা. বখতিয়ার নামে একজন আশ্রয় দিয়েছিলেন তাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি এবং তিনি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী দুই পলাতক জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো। একজন সাধারণ অপরাধী আরেকজন জঙ্গিকাণ্ডে অপরাধী কোনোভাবেই এক করা যাবে না।
ডিএমপির এ অতিরিক্তি পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, এ ধরনের শীর্ষ ও ভয়ংকর জঙ্গিদের আদালতসহ যেকোনো জায়গায় আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ছিল। সেটি অবশ্যই ঘাটতি ছিল। পরে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ ধরনের আসামি আদালতে আনা নেওয়ার ক্ষেত্রেও গাইডলাইনস দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা দ্বিতীয়টি ঘটানোর শক্তি সামর্থ্য জঙ্গি সংগঠনের নেই।