South east bank ad

ঠাকুরগাঁওয়ে সাবেক এসপি-ওসির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

 প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন   |   থানার কথা

ঠাকুরগাঁওয়ে সাবেক এসপি-ওসির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

পঞ্চগড়ে সাবেক এক বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সদস্যকে গুম করার উদ্দেশে তুলে নিয়ে মামলায় ফাঁসানোসহ নগদ অর্থলুট ও ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক এসপি ও এসআই’র বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাবেক বিজিবি সদস্য কাইয়ূম উদ্দীন বাদী হয়ে দেবীগঞ্জ আমলি আদালতে সাবেক এসপি মনিরুজ্জামানসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

আদালত মামলার শুনানি করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য র‌্যাব-১৩ কে নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও তদন্ত প্রতিবেদন জমার জন্য আগামী ২৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার সাবেক এসপি মনিরুজ্জামান (৪৫), ঠাকুরগাঁও থানার সাবেক এসআই আনিসুর রহমান আনিস (৪২), ডিবির সাবেক এসআই নবিউল ইসলাম, ঠাকুরগাঁওয়ের বাসিন্দা ইউসুফ আলী (৫৯), রেখা রাণী (৩৮), জাহানারা (৪৫), মোস্তফা, বুলবুল, হাসিবুল, হুদুল মোহাম্মদ, সামিউল ইসলাম, ওবায়দুল হক, সাদেকুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরো ১০ থেকে ১২ জন।

মামলার বাদী কাইয়ূম উদ্দীন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চেংঠিহাজড়া এলাকার বাগদহ শাহপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী সাবেক বিজিবি সদস্য কাইয়ূম উদ্দীন ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে দেবীগঞ্জের ফুলবাড়ি জনতা ব্যাংক থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা ব্যবসার উদ্দেশে তুলে উপজেলার নতুনহাট এলাকায় তার ব্যবসা স্থলের পাশের একটি সড়কের ওপরে মোটরসাইকেলে বসে ছিলেন। এ সময় ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই আনিসুর রহমান ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল এসে কাইয়ূমের গতিরোধ করেন। পরে তারা তাকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যান। এ সময় তারা কাইয়ূমের সঙ্গে থাকা সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়ে আরো ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

আরো জানা গেছে, পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার সদর থানায় ওসির রুমে গিয়ে বিজিবি সদস্য কাইয়ূমের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে টাকা দিতে রাজি না হলে থানায় বেধড়ক মারধর করা হয়। চাঁদা না দেওয়ায় এক হিন্দু নারীকে ধর্ষণের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে একটি মামলায় ফাঁসানো হয় বলে এজাহারে বলা হয়। পরে জামায়াতের ওপর করা একটি মামলায়ও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। কারাভোগ শেষে জামিনে মুক্ত হন বিজিবি সদস্য কাইয়ূম।

মামলার বাদী সাবেক বিজিবি সদস্য কাইয়ূম গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমি এই চাঁদাবাজদের পাল্লায় পড়ে সর্বশান্ত হয়েছি। আমার ব্যবসা বাণিজ্য ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি পথে বসে গেছি। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। যেন তারা এ রকমের কাজ আর কারো সঙ্গে করতে না পারে।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আকবর আলী বলেন, বাদীকে আসামিরা নির্মম অত্যাচার করেন। তাকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর মতো অপরাধ করে চাঁদা দাবি করেন। পরে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে আদালত র‌্যাব-১৩ কে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। আমি আশা করি আমার মক্কেল এই মামলায় সুষ্ঠু বিচার পাবেন। সেই সঙ্গে জড়িতরাও শাস্তি পাবে।

BBS cable ad

থানার কথা এর আরও খবর: