সেই গায়ত্রীর বিস্তারিত জানতে জাতিসংঘকে চিঠি দিল পিবিআই
 
                                                                                                 সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আকতারের পরকীয়া প্রেমিকা গায়ত্রী অমর শিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনএইচসিআর) চিঠি দিয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।  এদিকে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারকে গায়ত্রীর দেওয়া দুটি বইয়ের ফরেনসিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা মঙ্গলবার জানান, বই দুটি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোর জন্য শিগগিরই আদালতে আবেদন করা হবে।
 মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টমেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা চিঠি দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। স্ত্রী মিতুকে হত্যার অভিযোগে বাবুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে গত ১২ মে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করা হয়। মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সেদিনই বাবুল আক্তারকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর মোশাররফ হোসেনের মামলায় তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার কথা বললেও পরে জবানবন্দি দেননি বাবুল আক্তার। 
তিনি বলেন, গায়ত্রী অমর শিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়ে ইউএনএইচসিআরকে রোববার (২৩ মে) চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বরাবর চিঠিটি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।  চিঠির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজার জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে কর্মরত থাকার সময় ২০১৩ সালে ইউএনসিসিআর এর কর্মী গায়ত্রী অমর শিংয়ের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এই নিয়ে মিতুর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ শুরু হয় মিতুর। কলহের সময় মিতুকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন বাবুল। এরই মধ্যে ২০১৪ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত সুদানে জাতিসংঘ শান্তিমিশনে সুদানে ছিলেন বাবুল আক্তার। এই সময় বাবুল আক্তারের মোবাইল ফোনটি চট্টগ্রামের বাসায় ছিল। ওই মোবাইল ফোনে মোট ২৯ বার ম্যাসেজ দেন গায়ত্রী অমর শিং। 
এদিকে কারাগারে বাবুল আক্তারকে কারাবিধি অনুসারে চিকিৎসা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।  রোববার (২৩ মে) ভার্চুয়াল শুনানি শেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। 
পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদফতরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। 
হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন বাবুল। তবে পুলিশ তদন্তে তার সম্পৃক্ততার গুঞ্জন ছিল আগে থেকেই। 


 
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                   
                    
                  
 
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            