শিরোনাম

South east bank ad

পোশাক রপ্তানি খাতে কোনো ব্যাঘাত এলে অসুবিধা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৪০ অপরাহ্ন   |   মন্ত্রণালয়

পোশাক রপ্তানি খাতে কোনো ব্যাঘাত এলে অসুবিধা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের পোশাক খাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘পোশাক রপ্তানি খাতে ব্যাঘাত এলে অসুবিধা রয়েছে।’ একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত শ্রম অধিকার নীতি প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনের ঢাকা দূতাবাসের সতর্কতার বিষয়ে সাংবাদিকরা ব্যাখ্যা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে। উত্তরে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা চাই না দেশের উন্নয়নের অগ্রগতি কোথাও বাধাগ্রস্ত হোক। এখানে দেশের পোশাক খাত খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং পশ্চিমারাই বড় ক্রেতা। তাই এখানে কোনো ব্যাঘাত হলে অসুবিধা হবে। তবে এগুলো সব বেসরকারি এবং ব্যক্তি মালিকানায়। যারা ক্রেতা তারাও বেসরকারি। এখন কী হবে না হবে আমি জানি না। তবে তারা এখান থেকে কিনেন, কারণ এখানে স্বস্তা। চিন্তার কোনো কারণ নাই।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটাও বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বললেও কিছু হবে না। কারণ সেই দেশে যারা বেসরকারি ক্রেতা তারা সরকারকে পাত্তা দেয় না। কারণ এখানে স্বস্তায় উন্নত মান পাচ্ছে তারা। বাংলাদেশ আশা করে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের শ্রমিকদের উন্নয়নে আমাদের সহযোগিতা করবে।’

এক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসাও করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, ‘দুনিয়ার মজদুরদের জন্য আমেরিকার যে নীতি নিয়েছে এটা অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি আশা করব যুক্তরাষ্ট্রের মতো ধনী ও শক্তিশালী দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলাতেও তারা গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেবেন। আশা করব, দুনিয়ার উদ্বাস্তু বা ভাসমান মানুষদের জন্যও তারা ভালো পলিসি নিয়ে আসবেন। তো আমেরিকা যদি এ ধরনের আরও প্রোগ্রাম নিয়ে আসে, আমরা স্বাগত জানাই। আমরা চাই দুনিয়ার সব শ্রমিক ভালো থাকুক।’

বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের আচরণ নিয়ে বরাবরই বক্তব্য দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এক্ষেত্রে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা আশা করব ভিয়েনা কনভেনশনের নিয়ম-নীতি মেনেই তারা (বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা) চলবেন। ওনারা অত্যন্ত ম্যাচিউরড ডিপ্লোম্যাট। তারা আচরণবিধি জানেন। তাদেরকে পরামর্শ দেওয়ার কোনো দরকার নাই।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেক বিদেশি পর্যবেক্ষক আসবে বলেও আশাবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
BBS cable ad