গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে কমিটি গঠন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের জেরে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর এক মাস পর ৫ সেপ্টেম্বর গণভবনকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরই অংশ হিসেবে ১৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, “গণভবনে জুলাই-আগস্ট জুড়ে সারাদেশে পতিত আওয়ামী সরকারের নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরা হবে। আয়নাঘরের রেপ্লিকা হবে। এখানে একটি গবেষণা কেন্দ্রও থাকবে। পরবর্তীতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, এ জাদুঘর সংরক্ষিত থাকবে।”
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, “শিগগিরই জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজ সম্পন্ন হবে। এরপরই এটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “গণভবন দেশের ১৬ কোটি মানুষের কষ্ট ও গৌরবের চিহ্ন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের প্রতীক। বিশ্ববাসীর কাছে এর ইতিহাস তুলে ধরার উদ্যোগ নেয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর গণভবন পরিদর্শনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।