গুম বিষয়ক কনভেনশনে সই করছে বাংলাদেশ

বৈশ্বিক সংস্থা জাতিসংঘের গুম এবং নির্যাতন বিষয়ক কনভেনশনে সই করবে বাংলাদেশ। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টরা যথাযথ উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থাকেও যথাযথভাবে কার্যকর করা হবে। এ ছাড়া বহুল সমালোচিত দেশের সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল বা এই আইনের যথাযথ সংশোধন করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, দায়িত্ব নেওয়ার পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং দেশের বাইরে বাংলাদেশ মিশনগুলোর রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওইসব বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকার কূটনীতিকদের জানান যে অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার সমুন্নত রাখার বিষয়ে খুবই সোচ্চার। যার অংশ হিসেবে জাতিসংঘের গুম এবং নির্যাতন বিষয়ক কনভেনশনে দ্রুত সই করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থাকেও যথাযথভাবে কার্যকর করতে চায়। এ জন্য সঠিক উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমলাদের মানবাধিকার সংস্থার দায়িত্ব না দিয়ে এই ইস্যুতে যারা সংগঠক (অ্যাক্টিভিস্ট) তাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া বহুল সমালোচিত দেশের সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল বা এই আইনের যথাযথ সংশোধন করা হবে। মূলত মানবাধিকার ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ছাড় দিতে নারাজ।
মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন দৈনিক সময়ের আলোকে বলেন, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জাতিসংঘের গুম এবং নির্যাতন বিষয়ক কনভেনশনে সই করা প্রয়োজন। যেহেতু দেশে এখন অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র মেরামতের কাজ করছে, তাই আমরা আশা করছি যে জাতিসংঘের গুম এবং নির্যাতন বিষয়ক কনভেনশনে সই হবে। গুম বিষয়ক কনভেনশনে সই হলে এই ইস্যুতে সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে থাকবে। গুম বিষয়ক অভিযোগ উঠলে তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউর (ইউপিআর) বাংলাদেশ অংশের পর্যালোচনা গত নভেম্বরে জেনেভায় অনুষ্ঠিত হয়। ওই পর্যালোচনায় বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে ১১০টি দেশ ৩০১টি সুপারিশ পেশ করে। সুপারিশমালার মধ্যে গুম এবং নির্যাতন বিষয়ক কনভেনশনে সই করার পরামর্শ রয়েছে। সুপারিশগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যক্রম এবং ব্যবস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারকরণ, জাতীয় পর্যায়ে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে বিভিন্ন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা, মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী করা, প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা দূর করার উদ্যোগ অব্যাহত রাখা, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির জন্য প্রচেষ্টা জোরদারকরণ, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ, অভিবাসী শ্রমিকের সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন, গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, বাল্যবিয়ে রোধকরণে জোরদার প্রচেষ্টা গ্রহণ ও মানব পাচার বন্ধকরণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা সম্পর্কিত সুপারিশ।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, দায়িত্ব নেওয়ার পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং দেশের বাইরে বাংলাদেশ মিশনগুলোর রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওইসব বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাকার কূটনীতিকদের জানান যে অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার সমুন্নত রাখার বিষয়ে খুবই সোচ্চার। যার অংশ হিসেবে জাতিসংঘের গুম এবং নির্যাতন বিষয়ক কনভেনশনে দ্রুত সই করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থাকেও যথাযথভাবে কার্যকর করতে চায়। এ জন্য সঠিক উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমলাদের মানবাধিকার সংস্থার দায়িত্ব না দিয়ে এই ইস্যুতে যারা সংগঠক (অ্যাক্টিভিস্ট) তাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া বহুল সমালোচিত দেশের সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল বা এই আইনের যথাযথ সংশোধন করা হবে। মূলত মানবাধিকার ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ছাড় দিতে নারাজ।
মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন দৈনিক সময়ের আলোকে বলেন, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জাতিসংঘের গুম এবং নির্যাতন বিষয়ক কনভেনশনে সই করা প্রয়োজন। যেহেতু দেশে এখন অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র মেরামতের কাজ করছে, তাই আমরা আশা করছি যে জাতিসংঘের গুম এবং নির্যাতন বিষয়ক কনভেনশনে সই হবে। গুম বিষয়ক কনভেনশনে সই হলে এই ইস্যুতে সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে থাকবে। গুম বিষয়ক অভিযোগ উঠলে তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউর (ইউপিআর) বাংলাদেশ অংশের পর্যালোচনা গত নভেম্বরে জেনেভায় অনুষ্ঠিত হয়। ওই পর্যালোচনায় বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে ১১০টি দেশ ৩০১টি সুপারিশ পেশ করে। সুপারিশমালার মধ্যে গুম এবং নির্যাতন বিষয়ক কনভেনশনে সই করার পরামর্শ রয়েছে। সুপারিশগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যক্রম এবং ব্যবস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারকরণ, জাতীয় পর্যায়ে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে বিভিন্ন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা, মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী করা, প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা দূর করার উদ্যোগ অব্যাহত রাখা, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির জন্য প্রচেষ্টা জোরদারকরণ, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ, অভিবাসী শ্রমিকের সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন, গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, বাল্যবিয়ে রোধকরণে জোরদার প্রচেষ্টা গ্রহণ ও মানব পাচার বন্ধকরণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা সম্পর্কিত সুপারিশ।