শিরোনাম

South east bank ad

রাষ্ট্রদূতদের চলাচলে আর বাড়তি নিরাপত্তা দেবে না সরকার

 প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৩, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন   |   সরকার

রাষ্ট্রদূতদের চলাচলে আর বাড়তি নিরাপত্তা দেবে না সরকার
বাংলাদেশের কয়েক বছর আগের একটি ঘটনা-পরবর্তী সময় থেকে কয়েকজন বিদেশী কূটনীতিক চলাচলের ক্ষেত্রে বাড়তি যে নিরাপত্তা সুবিধা (পুলিশ এসকর্ট) পেয়ে আসছিলেন তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশে অন্যসব দেশের মিশনপ্রধানরা যে নিরাপত্তা সুবিধা পান, এখন থেকে ওই দেশগুলোর কূটনীতিকদের ক্ষেত্রেও সেটাই প্রযোজ্য হবে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তা নয়, বরং বাড়তি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। দূতাবাসের নিরাপত্তায় পুলিশ এবং রাষ্ট্রদূতদের জন্য গানম্যান নিয়োজিত আছে। আরো বলা হয়, বাংলাদেশ বিদেশী কূটনীতিকদের নিরাপত্তার জন্য আন্তর্জাতিক আইন এবং প্রচলিত রীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সাধারণত বাংলাদেশ পুলিশ বিদেশী কূটনীতিকদের নিরাপত্তার গুরু দায়িত্বটি সবসময় পালন করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের কয়েক বছর আগের একটি ঘটনা-পরবর্তী সময় থেকে কয়েকজন বিদেশী কূটনীতিককে অলিখিতভাবে গাড়িসহ নিয়মিত ট্রাফিক মুভমেন্টের সহায়তার জন্য বাড়তি কিছু লোকবল দেয়া হয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রণে আছে। তাই তাদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রদানের আবশ্যকতা নেই। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কার্যপরিধি বৃদ্ধির জন্য এ বাড়তি সুবিধাটি এখন অব্যাহত রাখা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘‌‌‌সরকারি খরচে (জনগণের ট্যাক্সের টাকায়) বিদেশী কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা (এসকর্ট) দেয়া হবে না। কারণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের দেশে অনেক ভালো আছে। তাছাড়া কোনো দেশেই বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা দেয়া হয় না। তবে বিদেশী কূটনীতিকরা তাদের খরচে এসকর্ট হায়ার করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে টাকা দিয়ে আনসার ব্যাটালিয়নের এসকর্ট নিতে পারবেন।’
BBS cable ad