হাতিরপুলে ডিপিডিসির টুইন টাওয়ার নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ধানমন্ডি টুইন টাওয়ারের নির্মাণ কাজ গতকাল শনিবার ১৯ জুন ২০২১ইং তারিখ উদ্বোধন করা হয়েছে।
রাজধানীর হাতিরপুলে শুরু হয়েছে চীনের অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায় ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি- ডিপিডিসির ১৫ তলা বিশিষ্ট টুইন টাওয়ার নির্মাণ কাজ।
গতকাল শনিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টিবিইএ কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট জেকি চেন ডং।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রকল্পে ১৪টি ১৩২/৩৩ কেভি সাবস্টেশন, ২৬টি ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশন, স্কেডা অটোমেশন সিস্টেম, আধুনিক ম্যাকানাইজড ওয়ারহাউজ, ভূগর্ভস্থ তার ১৩২ কেভি ৬৫৩ কিলমিটার ও ৩৩ কেভি ৭০০ কিলোমিটার, বিতরণ লাইন ক. ১১ কেভি ৫৬৭ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ, খ. ১১ কেভি ২৫১৫ কিলোমিটার ওভারহেড গ. ০.৪ কেভি ২০০০ কিলোমিটার ওভারহেড, ধানমন্ডিতে ১০৫ কিলোমিটার ওভারহেড তার ভূগর্ভস্থ করা এবং আধুনিক সাবস্টেশন কাম অফিস/বাণিজ্যিক/আবাসিক বহুতল ভবন রয়েছে।
ডিপিডিসির ধানমন্ডি টুইন টাওয়ার নামে পরিচিতি পাওয়া এই ভবন ৭.৩২ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে, যার ৫০ শতাংশ ভূমিই থাকবে উন্মুক্ত।
প্রযুক্তিগত বিষয় ও অফিসিয়াল স্পেস ছাড়াও তিন তলাবিশিষ্ট বেজমেন্টের ওপর ভবনটির আরও ১৫ তলা থাকবে। আরও থাকবে বাণিজ্যিক স্পেস, ডিজিটাল মিউজিয়াম, বাংকোয়েট হল, সিনেপ্লেক্স, ক্যাফে ও ফুট কোর্ট।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোকে সংযোগ, সংযোগোত্তর সেবা, তথ্য সেবা বা বিল দেওয়া একই ছাদের নিচে নিয়ে আসা উচিত। সব সেবা একই স্থানে করা গেলে গ্রাহক হয়রানি কমবে।
‘টুইন টাওয়ারে একদিকে যেমন আধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশন থাকবে ঠিক তেমনি অন্যদিকে থাকবে বাণিজ্যিক স্পেস। ফলে ডিপিডিসির আয় বাড়বে। এই ভবনে ডিজিটাল মিউজিয়াম থাকবে, যা নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও বিদ্যুতায়নের রূপান্তর বিষয়ে সচেতন করবে।’