নালিতাবাড়ীতে ঘুর্ণিঝড়ে সরকারী গাছ পরে বসতঘর দ্বিখন্ডিত

শেখ সাঈদ আহাম্মেদ সাবাব, শেরপুর :
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে হঠাত ঝড়ে বসত ঘরের উপর রাস্তার পাশে লাগানো সরকারী গাছপড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের ইলিয়াস খন্দকারের ছেলে রাসেল খন্দকারের একমাত্র চৌচালা টিনসেট ঘরটি ভেঙ্গে দিখন্ডিত হয়ে যায়। ১১ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোরে আকস্মীক ঝড়ে নালিতাবাড়ী রাবারড্রেম হয়ে ফকিরপাড়া সড়কে পাশে সরকার রুপিত বড় আকারের চাম্বুল গাছ রাসেল খন্দকারের ঘরের মাঝ বরাবর পরলে ঘর দ্বিখন্ডিত হয়ে যায়। বসত ঘরে থাকা ইলিয়াস খন্দকার ও তার স্ত্রী ও ৪ বছরের নাতি সামান্য আহত হয়। বর্তমানে থাকার মত কোন ঘর নেই। শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় এ রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত গাছ সড়ানো হয় নাই ফলে বিপাকে আছে পরিবারটি।
খোজ নিয়ে জানাযায়, ইলিয়াস খন্দকারের ছেলে রাসেল খন্দকার ঢাকাই একটি গার্মেন্টস কম্পানিত চাকরি করে অনেক কস্টে প্রায় ২লক্ষ টাকা খরচ করে ২০১৩ সালে একটি ঘর তৈরী করে। এটিই তার থাকার একমাত্র সম্বল ছিল বলে জানান এলাকাবাসী। রাসেল সপরিবারে ঢাকা থাকলেও তার বৃদ্ধ পিতামাতা ও নাতি নিয়ে এই ঘরেই বসবাস করত।
এছাড়াও পরিচপুরান ইউনিয়নে খলাভাংগা গ্রামের সুলতান আহাম্মেদ এর টিনসেট থাকার ঘরে বড় সাজিনা গাছ পরে ঘরদেবে গিয়ে ক্ষতি হয়। একই এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিক এর কাঠাল গাছ পরে গরুরর থাকার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইলিয়াস খন্দকার বলেন, এক মাত্র থাকার ঘরটি ভেংগে আমরা অসায় হয়ে গেছি এখন কোথায় থকব বুঝতে পারছি না আর এখনও গাছ সড়ানো হচ্ছে না।
মরিচপুরান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রম্যান খন্দকার শফিক বলেন আমি বিষটি শুনেছি প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।