২০২৩-২০২৪ বাজেট: ঢাকা উত্তরের মাশা মারার ব্যয় বেড়ে ১২২ কোটি টাকা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) এলাকায় মশা নিধনে ব্যয় বাড়িয়ে প্রায় ১২২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে নগর কর্তৃপক্ষ। মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা, ডেঙ্গু মোকাবিলা, যন্ত্রপাতি কেনা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচারকাজে এই টাকা ব্যয় করা হবে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মশক নিয়ন্ত্রণ বাবদ মোট ১১১ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে পরে তা সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী এ খাতে ব্যয় হয় ৭৪ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী এ খাতে ব্যয়ের তুলনায় এবারের বরাদ্দ প্রায় দেড়গুণ বেশি।
সোমবার সকালে গুলশানে ডিএনসিসি নগরভবনের হল রুমে আয়োজিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ঘোষণা করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এবারের বাজেটে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের মধ্যে মশা নিধনকাজ পরিচালনার জন্য ৮৪ দশমিক ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে মশার ওষুধ কেনার পেছনেই ব্যয় হবে ৪৫ কোটি টাকা। আর ৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বেসরকারি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়োজিত মশককর্মীদের দিয়ে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনায়। এছাড়া মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ৭ দশমিক ৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে ডেঙ্গু মোকাবিলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচারণায়। সব মিলিয়ে যা ১২১ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা।
মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে এবার ৮৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। গত অর্থবছরে এই কার্যক্রমে ব্যয় ছিল ৫২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। নতুন অর্থবছরে এই খাতে বাড়ানো হয়েছে ৬১ শতাংশ।
মশার ওষুধ বাবদ ৪৫ কোটি টাকা, আগাছা পরিষ্কার ও পরিচর্যায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ফগারহুইল স্প্রে মেশিন পরিবহন ৫ কোটি টাকা, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে বিশেষ কর্মসূচি ১ কোটি টাকা, আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ৩০ কোটি টাকা, মশক নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান পরিচালনার জন্য রাখা হয়েছ ২ কোটি টাকা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের মোট বাজেট ৫ হাজার ২৬৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। বাজেটে ব্যয় হিসেবে রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা, অন্যান্য ব্যয় ১৪ কোটি ৫০ লাখ, উন্নয়ন ব্যয় (নিজস্ব উৎস) ১ হাজার ৫১৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা, উন্নয়ন ব্যয় (সরকারি উন্নয়ন সহায়তা) ৫৪ কোটি ১২ লাখ টাকা, উন্নয়ন ব্যয় (সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প) ২ হাজার ৩৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এছাড়া সমাপনী স্থিতি ধরা হয়েছে ৪৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এক নজরে বাজেট:
বাজেট ঘোষণায় জানানো হয়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে আয় হিসেবে রাজস্ব খাত থেকে ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৩০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, অন্যান্য খাতে ১৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, সরকারি অনুদান (উন্নয়ন সহায়তা) ৫৪ কোটি ১২ লাখ। এছাড়া সাহায্য মঞ্জুরি ৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা পাশাপাশি সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পে ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বাজেটে রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা, অন্যান্য ব্যয় ১৪ কোটি ৫০ লাখ, উন্নয়ন ব্যয় (নিজস্ব উৎস) ১ হাজার ৫১৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা, উন্নয়ন ব্যয় (সরকারি উন্নয়ন সহায়তা) ৫৪ কোটি ১২ লাখ টাকা, উন্নয়ন ব্যয় (সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প) ২ হাজার ৩৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া সমাপনী স্থিতি ধরা হয়েছে ৪৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. এ.কে.এম শফিকুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. বরকত হায়াত, কাউন্সিলরবৃন্দ এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।