খেটে খাওয়া অসহায় নারীকে খাদ্য সহায়তা সেনাবাহিনীর
রাজু খান (ঝালকাঠি) : সারাদেশে সরকারঘোষিত শাটডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ অবস্থায় খাদ্য সংকটে আছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। ঝালকাঠিতে এমনই খাবার সংকটে থাকা দুজন খেটে খাওয়া অসহায় নারী। ঝালকাঠির কৃষ্ণকাঠি এলাকার পিঠা বিক্রেতা তাসলিমা এবং চা-বিক্রেতা হাজেরা বিবি। দুপুর ১২টার দিকে তাসলিমার পিঠা বিক্রির খুপরি দোকানে হাজির হন সেনাসদস্যরা। এ সময় সেনাবাহিনীর ৭ পদাতিক ডিভিশন বরিশাল এরিয়ার ২২ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের ক্যাপ্টেন সানজিদা দুইজনের হাতে তুলে দেন চাল, ডাল, তেল, আটা, লবণসহ খাদ্যসামগ্রী। সেনাবাহিনীর খাদ্য সহায়তা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তাসলিমা বলেন, ‘বাড়ি যাইয়া মাইয়াডারে দেহামু, হেইয়ার পর ব্যাগ খুলমু। আল্লায় মোর দিকে মুখ তুইল্লা চাইছে।’ হাজেরা বিবি কান্নার স্বরে বলেন, ‘এয়া দেহি স্বপ্নের মতো, ঘরে আইয়া খাওন দিয়া গেল আর্মিরা। মুই পরান খুইল্লা আর্মি আফা’র লইগ্যা দোয়া হরি।’ এবার লকডাউনে ঝালকাঠিতে সরকারি-বেসরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে কেউ খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে না। তাই খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরে খাবার ফুরিয়ে আসছে। দিন দিন তা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আহমেদ বলেন, ‘কিছু বরাদ্দ এসেছে। সেগুলো দুই-এক দিনের মধ্যে উপজেলা এবং পৌরসভা পর্যায়ে উপ-বরাদ্দ দেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, ঝালকাঠি জেলায় করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় মঙ্গলবার করোনায় সনাক্ত হয় ১০৪ জন। ঝালকাঠি জেলায় এপর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগ ৮০৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে ২১৬৪ পজেটিভ ও ৪৯৯৯ নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। ১৩৯০জন সুস্থ হয়েছে ও ৩৯জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ৭০৫জন হোম ও ২৮জন হাসপাতাল আইসোলিশনে রয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডাঃ রতন কুমার ঢালী।