হালদা নদীতে জাল ফেলার খবর পেলেই ছুটে যান হাটহাজারীর ইউএনও রুহুল আমিন
বাংলাদেশের রুই জাতীয় মাছের একমাত্র প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী। এছাড়াও এ নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করেছে সরকার। যার কারণে এ নদীর গুরুত্বও বেড়েছে অনেকাংশেই।
২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেন রুহুল আমিন। যোগদনের পর থেকেই হালদাকে রক্ষা করার শপথ নেন। তার নানামুখী কর্মকাণ্ডে দেশব্যাপী সাড়া জাগিয়েছেন তিনি। হালদা নদী রক্ষায় তার ছিল নিয়মিত অভিযান। কি রাত কি দিন, যখনই হালদা নদীতে জাল ফেলার খবর পেয়েছেন সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে যান তিনি। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ছিল তার ১৭৮তম অভিযান। এ অভিযানই হালদায় তার শেষ অভিযান।
দুপুর থেকে হালদা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে হালদা পাড়ের মানুষকে সচেতন করেছেন। বুঝিয়েছেন দেশে হালদা নদীর গুরুত্ব।
অভিযানের পাশাপাশি হালদা নিয়ে ইউএনও'র ছিল শেষ উদ্যোগ। হালদায় মা মাছ শিকার বন্ধে নদীর বিভিন্ন কুমে (নদীর বাঁক যাকে স্থানীয়রা বলেন কুম) জনসচেতনতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করেন এ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
হালদা নদীর সাত্তারঘাট কুম, নয়াহাট কুমে সাইনবোর্ড স্থাপন করেন। দুই একদিনের মধ্যেই মাছুয়াঘোনা কুম ও রামদাস মুন্সির হাট কুমেও বসানো হবে এসব সাইনবোর্ড।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, বাংলাদেশের মহামূল্যবান এ প্রাকৃতিক সম্পদ সুস্থ থাকুক, ভালো থাকুক, নিরাপদ থাকুক, হালদার দুই পাড়ের মানুষ আরও বেশি যত্ন করুক।