যেভাবে ফেরত পাওয়া যাবে সিনেমায় লগ্নি করা টাকা
অনন্য মামুন:
ধরে নিলাম আগামী ২ বছর সিনেমা হলের ব্যবসা আমরা পাবো না। তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা কি হতে পারে বা লগ্নি করা টাকা ফেরত পাবার বুদ্ধি কি? আমার নিজের মতামত।
১. ভালো দামে ডিজিটাল স্বত্ব বিক্রয় করা। আমরা ৫/৭ লাখ টাকায় সিনেমার সব স্বত্ব দিয়ে দেই। ভুলেও এমন কাজ করবেন না। সত্যি কথা বলতে ডিজিটাল স্বত্ব বিক্রয় করা মানে আপনার আর কিছু থাকলো না। কারণ সিনেমা হলে কিন্তু সিনেমাটা এক দুই বারের বেশি চলে না। কিন্তু ডিজিটাল স্বত্ব সারা জীবন চলতে থাকে। বাইরের দেশে কিন্তু আজীবনের জন্য কোন স্বত্ব বিক্রয় হয় না। একটা নিদিষ্ট টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স ভাড়া হয়। একটা ভালো মানের সিনেমার দাম বাংলাদেশের বাজেট অনুযায়ী ৫০ লাখ টাকা থেকে শুরু হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
২. টিভিস্বত্ব। এখানে সব সময় আমরা বোকামি করি। আজীবনের জন্য একটা সিনেমা খুব অল্প টাকায় বিক্রয় করে দেই। পাশের দেশ ভারতের বাংলা সিনেমার টিভিস্বত্ব বিক্রয় হয় ১/১.৫ কোটি টাকায় তাও ২/৩ বছরের জন্য। সেখানে আমাদের দেশের সুপারস্টারের সিনেমার টিভি স্বত্ব আজীবনের জন্য বিক্রয় হয় ২০ লাখ টাকায়। অন্য শিল্পী হলে দাম শুরু হয় ৫ লাখ টাকা থেকে। আমার মতে, সিনেমার টিভি স্বত্ব দাম শুরু হওয়া দরকার ২০ লাখ টাকা থেকে।
৩. স্পন্সর নিয়ে কাজ করা। এখন কিন্তু স্পন্সর থেকে ভালো একটা টাকা নেয়ায় সম্ভব।
উপরে ব্যাপারগুলো যদি আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে কোন দিন কোন সিনেমা লস্ করবে না। আর সিনেমার হল এর ব্যবসা হবে বোনাসের টাকার মতো।
সব কিছু সঠিক মতো করার জন্য দরকার একটা ভালো এজেন্সি। সেটা গড়ার চেষ্টায় আছি।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)