কূটনীতিকদের প্রটোকল ইস্যু দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: পররাষ্ট্র সচিব

কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের বিষয়টি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি না এটি কোনো প্রভাব ফেলবে। আমাদের যে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, সেটির সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িত থাকে। এটি একটি প্রটোকল সম্পর্কিত বিষয়।’ আজ মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকালে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রসচিব।
মানবাধিকার, নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে সরকারের। এ মুহূর্তে রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এগুলো চলমান ইস্যু। এগুলোর সঙ্গে অন্য বিষয়গুলোকে জড়িয়ে ফেলাটা মনে হয় স্পেকুলেশন হবে।’
বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা এ সময়ে কেন প্রত্যাহার করা হলো সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, কোনো না কোনো সময় এটি করাই হতো। সুতরাং, সময় নিয়ে অনেকে হয়তো বিভিন্ন ধরনের চিন্তা করছে। কিন্তু এটি এমনিতেই করা হতো।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমার জানা মতে, চারটি দেশকে নিয়মিত (পুলিশ এসকর্ট) দেয়া হতো। এছাড়া একটি বা দুটি দেশ চাইলে তাদেরও দেয়া হতো।বাড়তি সিকিউরিটি, অর্থাৎ পুলিশ এসকর্ট ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্সের কাজ করতো। সুতরাং, তাদের আসল যে নিরাপত্তার বিষয়টি, সেটি অপরিবর্তিত আছে।
দূতাবাসকে সিদ্ধান্ত জানানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে জানানোর বিষয়টি ছিল না…, আমাদের যে রেকর্ড আমরা দেখেছি, সেখানে তাদের তরফ থেকে কোনো অনুরোধ ছিল সেরকম কিছু খুঁজে পাইনি, বা আমাদের পক্ষ থেকে তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে, সেরকম কিছু হয়নি। এটা হোলি আর্টিজানের সময়ে জঙ্গিবাদের উত্থানের যে সম্ভাবনা ছিল, সেটা বিবেচনায় বা নিরাপত্তার বিবেচনায় সেটি দেয়া হয়েছিল। তবে বর্তমানে নিরাপত্তার দিক থেকে ঘাটতি আমরা দেখতে পাচ্ছি না। কারণগুলো আমরা বিবেচনা করে দেখেছি, যে সময়ে তাদের নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিল, ওই সময়কার পরিস্থিতি থেকে এখনকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত রয়েছে।’
মোমেন বলেন, ‘বিদেশি দূতাবাস ও কূটনীতিকদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য আমাদের যে মৌলিক দায়িত্ব রয়েছে, সেটি পালনে আমরা কখনোই পিছপা হবো না এবং এটির নিশ্চয়তা দিচ্ছি। একই সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করার জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও রেখেছে সরকার। আনসার স্পেশাল ব্যাটালিয়ানকে অনেক দিন ধরে তৈরি করা হচ্ছিল। আমরা আনসারের মহাপরিচালকের সঙ্গে বসবো এবং তাদের কী কী পরিষেবা আছে, সেটি জেনে দূতাবাসগুলোকে জানিয়ে দেবো। যারা ওই পরিষেবা নিতে চাইবে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগও করিয়ে দেবো।’