কক্সবাজার বিমানবন্দর, শৈশবের স্মৃতি: হেলালুদ্দীন আহমদ

আমার নিজ জেলা কক্সবাজার। কক্সবাজার শহরেই আমার জন্ম।শৈশব কাল থেকেই কক্সবাজার বিমানবন্দরে বিমান উঠানামা দেখতাম। বিমানবন্দরের পাশেই আমাদের বাসা ছিল। যখন কোন বিমান রানওয়েতে নামার সময় বা উড়াল দিবার সময় বাসা থেকে দৌড়ে এসে দেখার চেষ্টা করতাম। কি যে আনন্দ পেতাম। গ্রাম হতে মেহমান আসলে তাদেরকে রানওয়ের নিকটে কাটাতারের পাশে খুব কাছ থেকে বিমান উঠানামা দেখাতাম। তারা অবাক নয়ণে দেখতো। এ বিমানবন্দরে আমার শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে ।
এখন সে বিমানবন্দরের রানওয়ে দীর্ঘ হবে , একই সাথে বাংলাদেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে , বড় বড় বিমান নামবে ,সারা পৃথিবী থেকে লোক আসবে,তখন সে আনন্দ আর রাখি কোথায়। এ রানওয়ের বৈশিষ্ট হলো , এটি বাংলাদেশের দীর্ঘতম এবং ১৩০০ ফিট রানওয়ে সমুদ্রের মধ্যে নির্মাণ করা হবে।
কক্সবাজার জেলাবাসির পক্ষ হতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, যিনি আমাদের কক্সবাজারকে বৈশ্বিক যোগাযোগের কেন্দ্র হিসাবে উপহার দিয়েছেন। তিনি কক্সবাজারকে নিয়ে অনেক চিন্তা ও পরিকল্পনা করে রেখেছেন। তিনি গতকাল রানওয়ে উদ্বোধনের সময় বলেছেন - “কক্সবাজারে হবে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট সমুদ্র সৈকত ও পর্যটন কেন্দ্র এবং আধুনিক শহর। পুরো কক্সবাজারকে উন্নত- সমৃদ্ধ করা হবে। ভবিষ্যতে কক্সবাজার হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।” তাঁর কথায় গর্বে বুকটা ভরে যায়। মনটা আনন্দে নেচে উঠে।
হেলালুদ্দীন আহমদ
(সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।)
এর ফেসবুক থেকে নেয়া।